এক দিনে পাঁচ মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৫৯ জনের সাজা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম। এ ছাড়া জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলামেরও সাজা হয়েছে।
এ নিয়ে গত সাড়ে চার মাসে ঢাকার আদালতে ৬৩টি মামলায় ৯৭৭ জনের সাজা হলো। সাজা হওয়া নেতা–কর্মীদের বেশির ভাগই ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা–কর্মী।
২০১৮ সালে কামরাঙ্গীরচর থানায় পুলিশের করা পৃথক দুটি মামলায় ২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী গতকাল এই রায় দেন। একটি মামলায় পুলিশের এজাহারের তথ্য বলছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচরের ছাতা মসজিদের সামনের সড়কে বিএনপির নেতা–কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আটজন সাক্ষী হাজির করা হয়। এর মধ্যে সাতজন পুলিশ সাক্ষী। রায়ে ১২ জনকে দুই বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। খালাস পেয়েছেন দুজন।
আরেক মামলায় একই আদালত বিএনপির ১৬ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। খালাস পেয়েছেন চারজন। এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচরে রনি মার্কেটের সামনে সরকারবিরোধী মিছিল করেন নেতা–কর্মীরা। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পাঁচজন পুলিশ সাক্ষীকে হাজির করা হয়।
২০১৮ সালে গুলশান থানার মামলায় ১১ জনকে দুই বছর করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান গতকাল এই রায় দেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর বিএনপির নেতা–কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ মামলায় চারজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৩ সালে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমসহ ১০ জনকে আড়াই বছরের সাজা দিয়েছেন একই আদালত। মামলার এজাহারের তথ্য বলছে, ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ কারওয়ান বাজারে একটি ট্যাক্সিক্যাবে আগুন দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর পল্টন থানায় করা মামলায় জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলামসহ ১০ জনকে আড়াই বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম গতকাল এই রায় দেন। সাজার তালিকায় আছেন বিএনপি নেতা রফিকুল আলম ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া। মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১২ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।