ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণপোস্টারিং কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণপোস্টারিং কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে

১৮ বিশিষ্ট নাগরিকের ক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখতে পদক্ষেপ নেয়নি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দেশের ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেসব ঘটনার সুরাহা করেনি। ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখতেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আজ মঙ্গলবার ক্ষোভের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান এই বিশিষ্টজনেরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত নিকৃষ্টতম অপরাধে তাঁরা হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেসবের তদন্ত বা সুরাহা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করেনি। ক্যাম্পাস নিরাপদ ও শৃঙ্খলা আনতে কার্যকর পদক্ষেপও নেয়নি। এই সুযোগে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র এ ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের যে ‘কথিত রাজনৈতিক’ পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তা তাঁদের শঙ্কিত করে তুলেছে। এসব ছাত্র আগামী দিনে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। এসব ছাত্রের নৈতিক অধঃপতন দেখে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁরা চরম উদ্বিগ্ন।

সরকারের কাছে এই অপরাধের দ্রুত তদন্ত ও বিচার চেয়ে এই নাগরিকেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন হাসান ইমাম, অনুপম সেন, সারওয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, আবেদ খান, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, কেরামত মওলা, মিলনকান্তি দে, লাকী ইনাম, সারা যাকের, শিমূল ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ ও আহকামউল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে চারজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা।