ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আশিকুর রহমানকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। পাশাপাশি ওই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত এক সভায় বার কাউন্সিলের নেতারা এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বার কাউন্সিলের সভাকক্ষে দুপুরে এ সভা হয়। সভায় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল আলম ও কমপ্লেইন্ট অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদসহ বার কাউন্সিলের বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অংশ নেন।
বার কাউন্সিলের কমপ্লেইন্ট অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ময়মনসিংহে আইনজীবী মারধরের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত খবর ও বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন কাউন্সিল সভায় পর্যালোচনা করা হয়। বার কাউন্সিল ওই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। ওই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
১৪ জুন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের তৎকালীন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এনামুল কবীর এক আইনজীবীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতি ১৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, আইনজীবী সমিতির সদস্য আশিকুর রহমান ১৪ জুন দুপুরে একটি পারিবারিক অভিযোগের শুনানির জন্য অতিরিক্ত ডিআইজি এনামুল কবীরের কক্ষে যান। শুনানির একপর্যায়ে এনামুল কবীর আশিকুর রহমানকে থাপ্পড় মারেন এবং পরে রড দিয়ে বেধড়ক পেটান। সংবাদ সম্মেলনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনামুল কবিরকে বরখাস্তের দাবি জানানো হয়।
এরপর এনামুল কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে ১৮ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর ভাষ্য, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজির (প্রশাসন ও অর্থ) দায়িত্ব পালন করা এনামুল কবিরকে সিলেট রেঞ্জে যুক্ত করা হয়েছে। এ সময় তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।