সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে। ঢাকা, ১৭ আগস্ট
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে। ঢাকা, ১৭ আগস্ট

পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।

রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, অনেক দেশপ্রেমিক, সাহসী সেনা কর্মকর্তা বিচার চাইতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক কর্মকর্তার জেল হয়েছে, জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একটি কমিশন করা হোক। যেসব নির্দোষ সৈনিক জেলে আছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক।

গত ১৫ বছরে যে তদন্ত হয়েছে, সেটি রাকিন আহমেদ মানেন না উল্লেখ করে বলেন, এই হত্যার প্রধান যিনি, হত্যার নির্দেশ যিনি দিয়েছিলেন, তিনি ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন, সংসদে ও গণভবনে ছিলেন। খুনি তো আর নিজের বিচার করবেন না। তদন্তে তিনি হস্তক্ষেপ করেছেন। এই হত্যায় শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস জড়িত বলেও দাবি করেন তিনি। রাকিন আহমেদ মনে করেন, স্বাধীন তদন্ত কমিটি করা হলে আরও অনেকের নাম আসবে।

পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ভাই, স্ত্রী ও স্বজনেরা আজ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তাদের স্বজনেরা।

১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। সেদিন বিডিআরের কয়েক শ সদস্য পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালান। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও সেদিন নৃশংসতার শিকার হন।