দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নভেম্বরের ২৬ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ২৫০ জনের। আর চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এই রোগে মারা গেলেন ১ হাজার ৫৯৮ জন।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৭১ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ২১৭ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ৭৫৪ জন ভর্তি হন। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ঢাকার ও দুইজন ঢাকার বাইরের।
চলতি বছর দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৩ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ২ লাখ ১ হাজার ৮৮ জন।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে এ দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর ২০০০ সালে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গু ছিল ঢাকা শহরটি মূলত কেন্দ্রবিন্দুবাদী। প্রতি বছরে ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দেওয়া হয়। তবে ডেঙ্গু শহরের বড় বড় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৯ সালে বড় বড় শহরের পাশাপাশি কিছু গ্রামেও ডেঙ্গু প্রকাশ পায়।
এ বছর ঢাকা শহরের বাইরে ২ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। উপকূলের জেলাগুলোয় ডেঙ্গুর প্রকোপ নতুন ঝুঁকি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। চলতি বছর ৬৪ জেলাতেই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে, বহু গ্রামের মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর অর্থ, সারা দেশে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা আছে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন। এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।