বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং এই অঞ্চলে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন করে ১১ কোটি ৬০ লাখ (১ হাজার ২৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকা) মার্কিন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর বড় অংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী ও দেশের সহায়তায় ব্যয় করা হবে।
এক সংবাদ বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ডলারের বেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এ–সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘আজ জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে আমি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য ১১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছি। এখান থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, পানি, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগীদের ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ ২২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।’