সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার (লৈঙ্গিক) সংবেদনশীলতা বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় ‘সাউথ এশিয়া লাডলি মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাডভারটাইজিং অ্যাওয়ার্ডস ফর জেন্ডার সেনসিটিভিটি-২০২৪’ (এসএএলএমএএজিএস) পাচ্ছেন ১৪ সাংবাদিক। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ থেকে তাঁদের পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীনসহ দুই বাংলাদেশি সাংবাদিক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জেন্ডার–সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার জন্য এসএএলএমএএজিএস পুরস্কার দেওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের সাংবাদিকেরা এ পুরস্কার পেয়ে থাকেন। এ বছর চতুর্থবারের মতো এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে।
এসএএলএমএএজিএস ভারতের মুম্বাইভিত্তিক সংস্থা পপুলেশন ফার্স্টের একটি উদ্যোগ। ভারতের গণমাধ্যমে জেন্ডার সংবেদনশীলতা এগিয়ে নিতে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছে তারা। গত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএএলএমএএজিএস আয়োজনে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলকে (ইউএনএফপিএ) পাশে পেয়েছে পপুলেশন ফার্স্ট।
আগামী ৯ অক্টোবর মুম্বাইয়ে এনসিপিএর টাটা থিয়েটারে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এ বছরের পুরস্কার আয়োজনে পপুলেশন ফার্স্টকে আরও সহযোগিতা করেছে সাউথ এশিয়ান উইমেন ইন মিডিয়া (এসএডব্লিউএম) ও এশিয়ান ফেডারেশন ফর অ্যাডভারটাইজিং অ্যাসোসিয়েশন (এএফএএ)।
সুমনা শারমীন ছাড়া এ বছর এসএএলএমএএজিএসের জন্য বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন দ্য ডেইলি সাউথ এশিয়ান টাইমসের প্রধান প্রতিবেদক ও বিশেষ সংবাদদাতা তাপসী রাবেয়া আখিঁ। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার সোনালি ওয়ানিগাবাদুগে, আনিয়া বিপুলাসেনা, মালদ্বীপের আইশাথ মোহামেদ ও জামাথ আহমেদ ওয়াহিদ, নেপালের বিনিতা দাহাল ও কল্পনা ভট্টরাই, পাকিস্তানের জামাইমা আফ্রিদি ও রাবিয়া আরশাদ, ভুটানের দামচোয়ে পেম ও ইয়াংগিয়েল লহাদেন এবং আফগানিস্তানের জারগুনা সালেহি ও ওয়াসলাত খান।