জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থাটি।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ প্রথম আলোকে বলেন, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ভোগাই নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। শেরপুর জেলার ভোগাই নদ, নাকুয়াগাঁও এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, আগামী তিন দিন ময়মনসিংহ বিভাগ এবং উজানে অতিভারী বৃষ্টি কম হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভোগাই নদের পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। এতে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভোগাই নদ–সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী–সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনা জেলার কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷ তবে পরের দুই দিনে কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও এর কাছাকাছি উজানে অতিভারী বৃষ্টির প্রবণতা কম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরে বাড়বে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।