স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে (খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের রাত) সাধারণ বার বন্ধ থাকবে। সেদিন ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসংক্রান্ত বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন ভালোভাবে হবে। এ দুদিন যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়; বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা স্থিতিশীল হয়েছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাল্টা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, ‘আপনারাই বলেন, কতটা স্থিতিশীল হয়েছে। আগের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে কি না।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোনো বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে কতজন বিদেশি নাগরিক আছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কতজন আছেন, এ বিষয়ে সরকারের কাছে পরিসংখ্যান নেই।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ‘সতর্কীকরণ’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করা ও অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বিদেশি নাগরিকদের অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জন করতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়, বৈধ ভিসায় বাংলাদেশে আসা কোনো বিদেশি নাগরিকের ভিসা শেষ হয়ে গেলে প্রথম ১৫ দিনের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। ১৫ দিন পেরিয়ে অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দুই হাজার টাকা এবং অবৈধ অবস্থানের মেয়াদ ৯০ দিন অতিক্রান্ত হলে প্রতিদিন তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হবে। একই সঙ্গে অবৈধ অবস্থানের কারণে সংশ্লিষ্ট বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে আদালতে মামলা করা হবে।