চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, রয়েছেন তিন সমন্বয়ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ কমিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদে থাকা তিনজন রয়েছেন। সহসমন্বয়ক রয়েছেন একজন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৩ জন আগেই প্রকাশ্যে আসেন। ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইব্রাহিমের পরিচয় প্রকাশ হয়েছিল। এরপর ২১ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসেন প্রচার সম্পাদক সাইদ বিন হাবিব। নাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ, ইব্রাহিম মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ এবং সাইদ ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

কমিটিতে বায়তুল মাল ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে আছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মোহাম্মদ আলী। অফিস সম্পাদক পদে রয়েছেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মুহাম্মদ পারভেজ। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের হাসান মুজাহিদুল ইসলাম শিক্ষা সম্পাদক পদে, একই বিভাগের একই বর্ষের হাবিবুল্লাহ খালেদ মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক পদে, এস এম ফাহিম আইটি সম্পাদক পদে ও রবিউল ইসলাম সাহিত্য সম্পাদক পদে রয়েছেন।

কমিটিতে ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক পদে রয়েছেন ইতিহাস বিভাগের আফনান হাসান। এ ছাড়া প্রকাশনা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শরিফুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে ইসহাক ভূঁইয়া, পাঠাগার সম্পাদক পদে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের দ্বীন ইসলাম, বিজ্ঞান সম্পাদক পদে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের আমির হোসাইন, সহমানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক পদে মো. আবদুল্লাহ রয়েছেন।

অন্যদিকে স্কুল ও কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক পদে চট্টগ্রাম কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ইয়াসিন মুহাম্মদ ও হাটহাজারী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মোশারফ হোসেন রয়েছেন। এই দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। তাঁরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আমান বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের কার্যক্রম দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের শাখা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

শিবির নেতারা বলেন, হাটহাজারী থেকে আমান বাজার পর্যন্ত স্কুল-কলেজের কমিটির নেতৃত্ব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার জন্য দুজনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। বর্তমানে ছাত্রদের সাতটি হলের মধ্যে মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাড়া বাকি সব কটিতে শিবিরের কমিটি রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রয়েছেন। ১৭ সদস্যর এই কমিটির ৪ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক। আর একজন সহসমন্বয়ক। এ ছাড়া শিবিরের পদধারী আরও দুজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ওই দুজনের একজন শিবিরের একটি হল কমিটির এবং অন্যজন চট্টগ্রাম নগর শাখার দায়িত্বে রয়েছেন।

সমন্বয়ক পদে থাকা তিনজন হলেন মোহাম্মদ আলী, ইসহাক ভূঁইয়া ও হাসান মুজাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া সহসমন্বয়ক পদে রয়েছেন হাবিবুল্লাহ খালেদ। অন্যদিকে সমন্বয়ক মোনায়েম শরীফও শিবিরের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের সভাপতি। সমন্বয়ক ইব্রাহিম রনি শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগরের দায়িত্বে আছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।

জানতে চাইলে শিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমন্বয়ক পদে যাওয়ার পর তাঁদের অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কয়েকজনকে সংগঠনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর তাঁদের আবার দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন করে কমিটি দেবে। আমাদের সদস্যদের আমরা সেখানে অ্যালাউ করব না।’