ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ ৩১টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, তারা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে সরকার অগণতান্ত্রিক, নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে একের পর এক সংবাদকর্মী ও নানা স্তরের মুক্তচিন্তার মানুষকে গ্রেপ্তার করে ভয়ভীতির মাধ্যমে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ এবং জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে। অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের দোহাই দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির ধর্মঘট করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে দেশে ‘লুটপাটের দুঃশাসন’ টিকিয়ে রাখতে তৎপর রয়েছে।
বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বলেছে, তারা মনে করে এসব অগণতান্ত্রিক আইনকানুন ও দমন–পীড়ন মুক্তিযুদ্ধের মৌলচেতনার পরিপন্থী। একচেটিয়া অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থে সরকার বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করে মানুষের বেঁচে থাকার মতো ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব ‘অগণতান্ত্রিক’ আইন বাতিল এবং এসব আইনে বন্দীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হলো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণ সংস্কৃতি কেন্দ্র, সংহতি সংস্কৃতি সংসদ, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, রাজু বিতর্ক অঙ্গন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ লেখক শিবির, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, প্রগতি লেখক সংঘ, গণ সংস্কৃতি পরিষদ, স্বদেশ চিন্তা সংঘ, বাংলাদেশ থিয়েটার, তীরন্দাজ, রণেশ দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র সংসদ, উঠোন, ঢাকা ড্রামা, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, গণ সংস্কৃতি ফ্রন্ট, বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠী (সিরাজগঞ্জ), বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন, ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন, থিয়েটার ৫২, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদ, শহীদ আসাদ পরিষদ, মাদল ও বটতলা-এ পারফরম্যান্স স্পেস।