আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ নিম্ন আদালতে শেষ হয়েছে। তিনি যত দূর জানেন, এখন হাইকোর্ট বিভাগে এ মামলার আপিল শুনানি চলছে। তাঁর আশা, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে এ মামলার শুনানির কাজ শেষ হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে আইন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই আইনের শাসনের যে প্রক্রিয়া, সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা সেদিন খুনি মোশতাকের সঙ্গে গিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল, শুধু তারাই যদি সেদিন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে না যেত, তাহলেই খুনিরা টিকতে পারত না। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও বাঙালি কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। হয়তো তারা সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। সেদিন যদি বাঙালি জাতি সঠিক নেতৃত্ব পেত, তাহলে খুনিরা ১৫ সেকেন্ডও টিকতে পারত না। সেদিন যাদের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল, যারা নেতৃত্ব দিলে মানুষ রাস্তায় নেমে যেত, তারা বাঙালি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি বাঙালির বন্ধু ছিলেন। বাঙালিকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্বন্ধে শিখিয়েছেন। তাদের জন্য সারা জীবন আন্দোলনসংগ্রাম করেছেন এবং প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাঁর সারা জীবনের চিন্তাধারা ও আদর্শ তিনি সংবিধানে সন্নিবেশ করে গেছেন।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা প্রমুখ।