নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি

এনএসইউর সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী

ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সেরা ফল আনতে কাজ করা হবে

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে। উন্নয়নের পথযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বৈশ্বিক বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করছে, তাই আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের আসন্ন সম্মেলনে দেশের জন্য সেরা ফল বয়ে আনতে কাজ করা হবে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) ‘১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ শনিবার রাজধানীতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এনএসইউর সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) এবং স্কুল অব বিজনেস ইকোনমিকস (এসবিই) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আসন্ন ১৩তম মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সুবিধার সন্ধান ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ সমাধানের পরিকল্পনা সম্পর্কে চর্চা করা। সেশনে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএইচএসএসের ডিন এবং এসআইপিজির পরিচালক অধ্যাপক এস কে তৌফিক এম হক।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করছি। তাই আবুধাবিতে আসন্ন ১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনে আমরা দেশের জন্য সেরা ফল বয়ে আনার জন্য কাজ করব।’

সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডব্লিউটিওর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ যা পায়, তার থেকেও আরও বেশি অর্জনের যোগ্যতা রাখে। তাই গ্রিনরুম আলোচনায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন এবং অর্থনীতি গবেষণা প্ল্যাটফর্মের পরিচালক অধ্যাপক হেলাল আহম্মদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবশ্যই ভালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য অভ্যন্তরীণ বাজারের সম্প্রসারণ ক্ষমতা, তথ্য এবং বিশ্লেষণশীল ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বিস্তৃত করতে হবে।

অধিবেশনের সভাপতি জাভেদ মুনির আহমদ বলেন, বর্তমানে বাণিজ্য সংলাপগুলো আরও জটিল হয়েছে। রেমিট্যান্স এবং শ্রমিকদের গতিশীলতা এখন গুরুত্বপূর্ণ দিক। ধনী দেশগুলো তাদের শিল্পসংগঠনের পুনর্নির্মাণ করছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক কাঠামো পরিবর্তিত হচ্ছে।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এসআইপিজি, এনএসইউর অধ্যাপক শহিদুল হক; বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান; বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের সিইও মো. জাফর উদ্দিন।