প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাতে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের একটি ভুয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।
আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাজ্জাদ শরিফের ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা একটি কার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘এই দায় প্রথম আলোর নয়, এই দায় শামসুজ্জামানের।’
প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার। এমন কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ছবি ব্যবহার করে এবং বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে এটা করা হচ্ছে।’
শামসুজ্জামান প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক। তিনি সাভারে দায়িত্ব পালন করেন। আজ ভোররাত চারটার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে আসেন। দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। পরে জানা যায়, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তেজগাঁও থানায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন।
শামসুজ্জামানের একটি প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা চলছে। গত রোববার প্রথম আলো অনলাইনের ওই প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতিটি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর। বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।
এটা নিয়ে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষাপটে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক বলেছেন, মামলার বিষয়টা প্রথম আলো আইনের পথেই মোকাবিলা করবে।