সার্কের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ারকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর সার্কের মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রগুলো জানায়, কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিক ওই পদের বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোলাম সারওয়ারকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সার্কের মহাসচিব হিসেবে এর আগে বাংলাদেশের কূটনীতিক আবুল আহসান এবং কিউ এ এম এ রহিম দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁদের দুজনেই চাকরিরত অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থায় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
মনোনয়ন পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, মহাসচিবের নাম প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সার্ক সচিবালয়কে নতুন মহাসচিবের বিষয়ে অবহিত করা হয়।
অন্য দেশগুলোর এ বিষয়ে ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের মতামত নেওয়া বা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ যাকে নিয়োগ দেবে, সেই হবে পরবর্তী মহাসচিব।
বিসিএস ১০ম ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার ১৯৯০ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তাঁর ৩৩ বছরের কূটনৈতিক জীবনে তিনি ইয়াঙ্গুন, কাঠমান্ডু, ওয়াশিংটন ডিসি ও জেদ্দায় বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সুইডেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী গোলাম সারওয়ার জার্মানিতে ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ার ইস্ট-সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ থেকে সিনিয়র এক্সিটিউটিভ কোর্স করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি সামনে আসে, যখন অন্যান্য ছয়টি দেশ আফগানিস্তান থেকে মহাসচিব নিয়োগের বিষয়ে তাদের দ্বিমতের কথা জানান।
বর্তমান মহাসচিব শ্রীলঙ্কার ইসালা রুয়ান ভিরাকনের ২৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে অক্ষর ক্রমানুসারে আফগানিস্তান থেকে মহাসচিব নিয়োগের কথা থাকলেও ওই দেশে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে মহাসচিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্র সম্মত হয়েছে।