মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে অংশ নেন লাখো মানুষ। ঢাকা, ১২ এপ্রিল
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে অংশ নেন লাখো মানুষ। ঢাকা, ১২ এপ্রিল

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি

ঘোষণাপত্রে ইসরায়েলের বিচার দাবি ও সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান

গাজায় গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিচার, ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান এসেছে গণজমায়েত থেকে। ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষ এই জমায়েতে অংশ নেন।

গণজমায়েত থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সবার পক্ষ থেকে এ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

এর আগে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গাজায় গণহত্যার ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বেলা সোয়া তিনটার দিকে শুরু হয় গণজমায়েত।

লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত গণজমায়েতের শেষ দিকে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আদালতে জায়নবাদী ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধবিরতি নয়, অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ মুসলিম বিশ্বকে দায়িত্ব নিতে হবে। ১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিনিদের যে ভূমি ছিল, সেগুলো ফিলিস্তিনিদের  ফিরিয়ে দিতে দখলদার ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে।

ঘোষণাপত্রে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার পথ উন্মুক্ত করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ওআইসিসহ মুসলিম বিশ্বের সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের ওপর বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানানো হয়।

ঘোষণাপত্রে খাদ্য, চিকিৎসা ও প্রতিরক্ষা সহায়তা নিয়ে মজলুম গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্তটি ফিরিয়ে আনা, ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।