আস্থায় ফিরেছে ‘৯৯৯’, প্রতিষ্ঠার ৭ বছরে আড়াই কোটির বেশি জরুরি সেবা

তরুণ জুয়েল রানা গত ২৯ জুন সাত বন্ধুকে নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে চাঁদপুরের বড় স্টেশনঘাট থেকে মেঘনায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে নৌকাটি ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে ভাসতে থাকে। জুয়েল ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তাঁদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। চাঁদপুর নৌ পুলিশ থানার একটি উদ্ধারকারী দল তাঁদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে।

প্রতিদিন নানা বিপদে ও জরুরি প্রয়োজনে সারা দেশ থেকে অনেক মানুষ এভাবে ‘৯৯৯’-এ ফোন করে সেবা নিচ্ছেন।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে ৯৯৯ কার্যক্রম চালু হয়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর। যেকোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে জরুরি সেবা পেতে দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ এ নম্বরে ফোন করতে পারেন। যেকোনো ফোন থেকে বিনা মূল্যে এ নম্বরে কল করা যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত এ জরুরি সেবার সঙ্গে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ যুক্ত রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে ৯৯৯ কার্যক্রম চালু করা হয়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর। যেকোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে জরুরি সেবা পেতে দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ এই নম্বরে ফোন করতে পারেন।

৯৯৯–এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এখন দিনে গড়ে ২২ হাজার কল আসছে। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় গত ২৯ জুলাই ৯৯৯–এর সহায়তা চেয়ে ৪৮ হাজার কল এসেছিল।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশনির্ভর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কার্যক্রমে ধস নেমেছিল। পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া ও তাদের ওপর হামলা হওয়ায় তখন পুলিশের বেশির ভাগ সদস্য কর্মস্থলের বাইরে ছিলেন। এতে সেবাপ্রত্যাশী মানুষের বেশির ভাগেরই কল গ্রহণ (রিসিভ) করা যায়নি। অবশ্য, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থানায় পুলিশ ফিরে আসায় ৯৯৯–এর স্বাভাবিক পরিষেবা শুরু হয়েছে। আস্থাও ফিরেছে মানুষের।

৯৯৯ সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে সাহায্য চেয়ে ২১ লাখ ৫৯ হাজার ২৮১টি কল এসেছে। এর মধ্যে পাঁচ ধরনের ঘটনায় বেশি কল আসে। সেগুলো হলো মারামারি, আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চুরি ও দুর্ঘটনা।

ওই সময়ে এ পাঁচ ধরনের ঘটনায় মোট ৪১ হাজার ৮৩০ জনকে জরুরি সেবা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মারামারি বা সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ হাজার ৫১৭ জনকে সেবা দেওয়া হয়। ৯ হাজার ২৯৮ জনকে দেওয়া হয় চিকিৎসাসেবা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ৫ হাজার ৮৯৪ জনকে, দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ১৪৭ জনকে এবং চুরির ঘটনায় ৪ হাজার ৯৭৪ জনকে সেবা দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হওয়ার পর থেকে দুর্ঘটনা, মানুষ ও প্রাণীর জীবন রক্ষা, বন্য প্রাণী উদ্ধার, বাল্যবিবাহ রোধ, অগ্নিকাণ্ড, কিছু হারিয়ে গেলে, পাচার ও সহিংসতার ক্ষেত্রে জরুরি সহায়তার জন্য সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ৯৯৯। বিকাশ–সংক্রান্ত প্রতারণা ও জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের বিষয় জরুরি নয়। তবু এসব বিষয়ে সাহায্যের জন্য কল আসে ৯৯৯ নম্বরে।
আনোয়ার সাত্তার, পুলিশ পরিদর্শক, ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৩১২টি কল এসেছে। এর মধ্যে ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৭টি কলে সেবা দেওয়া হয়। সেবার হার ৫০ দশমিক ৫৬। বাকি ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৮১৫টি কল জরুরি সেবার বাইরে হওয়ায় সেই সব কলারকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ওই সময়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৪২টি জরুরি সেবা দিয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সেবা দেয় ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৩৭টি। সেবার হার ৮৫ দশমিক ৩১। ফায়ার সার্ভিস সেবা দেয় ২৩ হাজার ৯৫৭ এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয় ২৮ হাজার ৬৪৮। সেবার হার যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬৯ ও ৮ শতাংশ।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ‘৯৯৯’ চালু হয়। এর পর থেকে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় সাত বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৯৯-এ ফোন এসেছে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ১০৭টি। এর মধ্যে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৮৮টি সেবা দেওয়া হয়েছে। সেবার হার ৪৩ দশমিক ৩৪। বাকি ৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭১৯টি ফোনের কলদাতাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ হার শতকরা ৫৬ দশমিক ৬৬।

সাত বছরে ৯৯৯-এ জরুরি সেবা চেয়ে কল আসে ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৪টি। এর মধ্যে পুলিশ সেবা দেয় ১৬ লাখ ৬ হাজার ২৪০টি, ফায়ার সার্ভিস ১ লাখ ৫৬ হাজার ১২৯ এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয় ১ লাখ ৭০ হাজার ৯২৫টি।

৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেছেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হওয়ার পর থেকে দুর্ঘটনা, মানুষ ও প্রাণীর জীবন রক্ষা, বন্য প্রাণী উদ্ধার, বাল্যবিবাহ রোধ, অগ্নিকাণ্ড, কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, পাচার ও সহিংসতার ক্ষেত্রে জরুরি সহায়তার জন্য সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ৯৯৯। বিকাশ–সংক্রান্ত প্রতারণা ও জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের বিষয়গুলো জরুরি নয়। তবু এসব বিষয়ে সাহায্যের জন্য কল আসে ৯৯৯ নম্বরে।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ জরুরি সেবায় একসঙ্গে ৮০টি ফোনকল গ্রহণ করা যায়। তিনি মনে করেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবার দরকার নেই—এমন বিষয়গুলো নিয়ে যোগাযোগ না করলে ৯৯৯ থেকে আরও বেশি জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব।

কিছু জরুরি সেবার ঘটনা

১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে রামেল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান, এক মাস ধরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে তাঁর ছোট বোন মনি আক্তারকে আটকে রাখা হয়েছে। ঠিকানা না জানলেও একটি ফোন নম্বর দেন তিনি। জরুরি সেবার পক্ষ থেকে বিষয়টি শাহজাহানপুর থানা-পুলিশকে জানানো হলে তারা প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থল শনাক্ত করে। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে তারা। মনি আক্তারকে শাহজাহানপুরের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দিয়েছিলেন তার নানি।

গত ৩০ অক্টোবর ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাজধানীর ধানমন্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি লোহার রড ও বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়।

পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন রাত সোয়া ১০টার দিকে ডাকাতেরা ওই বাসায় ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মী তাঁদের বাধা দেন এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। এ সময় ডাকাতেরা তাঁকে মারধর করে মুঠোফোন কেড়ে ভবনে ঢুকে পড়েন। তাঁরা বাসার কলিং বেল ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কয়েকটি ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান বলেন, নিরাপত্তাকর্মীর চিৎকারে পাশের ধানমন্ডি আদর্শ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল পুলিশের দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বাইরে থেকে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর টহল দল ও ধানমন্ডি থানা-পুলিশ গিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে।

গত ২৭ মার্চ ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সিরাজগঞ্জ সদরের রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী মমিন শেখ (৪৫) ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে দরজার কাছে দাঁড়ান। তাঁর কাছে থাকা পাসপোর্ট-বিমান টিকিটসহ ব্যাগটি অসাবধানতাবশত ট্রেনের বাইরে পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় মমিন অচেতন হয়ে যান। তখন তাঁর সহযাত্রী ফাহিম ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান, ব্যাগটি উদ্ধার করা না গেলে ওই দিন বেলা ২টায় সৌদি আরবের বিমানে উঠতে পারবেন না মমিন। যথাসময়ে কাজে যোগ না দিলে তাঁর চাকরিও চলে যেতে পারে।

৯৯৯ থেকে রেলওয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানানো হয়। টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারে হাজেরা বেগম (৪০) নামের এক নারী ব্যাগটি পেয়েছেন। রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে হাজেরা বেগম টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যাগটি নিয়ে আসেন। পরে ব্যাগটি মমিন শেখকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

গত ২ মার্চ সন্ধ্যায় রাজীব আহেমদ নামের এক ব্যক্তি খুলনার রূপসা সেতুর কাছে রিভারভিউ কোস্টাল পার্ক অ্যান্ড ক্যাফে থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, সেখানে একটি নাগরদোলার কিছু অংশ ভেঙে সেটি বিকল হয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট উঁচুতে আটকে আছে। নাগরদোলায় ১৫ থেকে ২০ জন শিশু ও নারী আটকে আছেন। তাঁরা কান্নাকাটি করছেন। ৯৯৯ থেকে খুলনার টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে ১০ শিশু, ৩ নারী ও ২ পুরুষসহ ১৫ জনকে অক্ষত অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার অধীন শুঁটকিপট্টি এলাকায় চোর সন্দেহে দোকানদের ধাওয়া খেয়ে দুই শিশু পিটুনির ভয়ে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন নালায় ঢুকে পড়ে এবং ভেতরে অনেক দূর চলে যায়। তারা সেখানে আটকা পড়ে। খোকন নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করে এ তথ্য জানিয়ে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান। তখন বিষয়টি কোতোয়ালি থানা এলাকার নন্দনকানন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে জানানো হয়। একই সঙ্গে কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল গিয়ে ১২ ও ১৪ বছর বয়সী ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে।

৯৯৯–এর প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে যখনই মানুষ মনে করে বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে জানানো দরকার, তখনই তারা সেবা পেতে কল করছে। ৯৯৯-ও তাদের সেবা দিচ্ছে। সরকার পরিবর্তন হলেও ৯৯৯–এর সেবা অব্যাহত আছে। ৯৯৯ কোনো সরকার বা গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করে না। দেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ সমস্যায় পড়ে ৯৯৯-এ কল দেয়। ৯৯৯ সব সময় কল গ্রহণ করে, কীভাবে সেবা দেওয়া যায়, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ আরও বলেন, ‘জনগণের আস্থায় এখনো ৯৯৯ আছে।’