সৌদি আরব থেকে স্বামীর লাশ দেশে আসবে, মুখটা একবার দেখবেন এ আশায় দিন, মাস পার করছেন আফিয়া খাতুন, ইয়াসমীন বেগম ও সুমি আক্তার। পরিবারের আবেদনের পর সরকারি নথিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাশ কে গ্রহণ করবেন, সেখানে সুমি বা ইয়াসমীনদের নাম লিখে দেওয়া হয়েছে। তবে লাশই তো দেশে আসছে না।
সুমি আক্তারের স্বামী মো. জাহিদুল মারা গেছেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি, আফিয়া খাতুনের স্বামী মোহাম্মদ হানিফ ১৬ জুন এবং ইয়াসমীন বেগমের স্বামী কাজী সালাউদ্দিন মারা গেছেন ১৪ আগস্ট।
স্বামীর লাশ দেশে আনার জন্য আফিয়া প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কাছে গত ৬ জুলাই আবেদন করেন। এরপর বোর্ডের পক্ষ থেকে গত ১১ জুলাই হানিফের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কাউন্সেলর (শ্রম) বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে নিয়োগকর্তার খরচে জরুরি ভিত্তিতে হানিফের মরদেহ দেশে পাঠাতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি মৃত কর্মীর বকেয়া বেতন–ভাতা, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও বিমা বাবদ পরিবার কোনো সহায়তা পাবেন কি না—সেটাও জানাতে বলা হয়। একই প্রক্রিয়ায় সুমি ও ইয়াসমীন আবেদন করেছেন।
শুধু মৃত স্বামীর মরদেহ দেশে আনা নয়, আফিয়া–সুমিদের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। জাহিদুল, হানিফ ও সালাউদ্দিন সৌদি আরব যাওয়ার আগে লাখ লাখ টাকা ঋণ করেছিলেন। আশা ছিল, সেখানে আয় করা টাকা দেশে পাঠাবেন, ঋণ পরিশোধ করবেন। এখন আফিয়া–সুমি–ইয়াসমীনের কাঁধে সেই ঋণের বোঝা।
এই নারীদের কেউ এখন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউবা সন্তান আর সংসার সামলাতে কাজ জুটিয়ে নিয়েছেন। ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এখন শুধু অপেক্ষা মৃত স্বামীর মুখটা শেষবারের জন্য দেখার। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে না।
এ খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের আইনকানুনে জীবিত অভিবাসী শ্রমিকেরা যতটা গুরুত্ব পেয়েছেন, মৃত শ্রমিকেরা ততটাই অবহেলিত রয়ে গেছেন। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ৫৩ জন অভিবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে আনা হয়েছিল। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) এ সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০–তে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে গত শতকের সত্তরের দশকের মধ্যভাগে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে ১৭৬টি দেশে ১ কোটির বেশি অভিবাসী শ্রমিক রয়েছেন। বিদেশে কোনো শ্রমিক মারা গেলে মরদেহ দেশে আনা ও পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়ে কল্যাণ বোর্ড ওই শ্রমিকের মরদেহ বিদেশের মাটিতে দাফনের ব্যবস্থা করে। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ, বিমা ও অন্য বকেয়া আদায়ে তদারকি করা ও আদায় করে তা মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইলেকট্রনিক চ্যানেলে বিতরণ করাও কল্যাণ বোর্ডের কাজ।
দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীকল্যাণ বোর্ডের ডেস্ক রয়েছে। এসব ডেস্ক থেকে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের খরচের জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের ৩৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। এর বাইরে পরিবারপ্রতি তিন লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানও দেওয়া হয়।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ৫৩ জন অভিবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে আনা হয়েছিল। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) এ সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০–তে দাঁড়িয়েছে। আর ১৯৯৩ সাল থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে আনা মরদেহের সংখ্যা ৫১ হাজার ১৩৩। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকেরা সৌদি আরবে বেশি যান। তাই দেশটি থেকেই সবচেয়ে বেশি মরদেহ আসে।
সরকার ২০১৩ সালে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন করেছে। আইনে বলা আছে, মৃত শ্রমিকের নামের তালিকা, মৃত্যুর কারণ, দাফনসংক্রান্ত তথ্য, নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কি না বা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না—সেসব ওই শ্রমিক যে দেশে মারা গেছেন, ওই দেশের শ্রমকল্যাণ উইংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, স্বজন মারা গেছেন এ তথ্যটুকু জানতেও তাঁদের বেগ পেতে হচ্ছে।
বিদেশে শ্রমিক মারা গেলে মরদেহ দেশে আনতে নানা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এ জন্য সময় লাগে। এ ছাড়া আইনি জটিলতা থাকলে সে ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ আরও বেশি হয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুমি আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইলে। বয়স ২১ বছর। সংসারে এক ছেলে আর এক মেয়ে। মেয়ের বয়স চার বছর। ছেলের বয়স মাত্র চার মাস। গত জানুয়ারিতে স্বামী মো. জাহিদুল সৌদি আরবে যান। তখন সুমি সন্তানসম্ভবা। ২৬ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে মারা যান জাহিদুল। স্বামীর মৃত্যুর খবরটাও যথাসময়ে সুমির টাঙ্গাইলের বাড়িতে পৌঁছায়নি। পরবর্তী সময়ে সৌদি আরবে অবস্থান করা কুমিল্লার এক ব্যক্তি তাঁকে এ খবর জানান।
১৬ নভেম্বর সুমির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। বললেন, ‘স্বামীর লাশ দেশে আইব, অপেক্ষায় আছি গত ১০ মাস। বাড়ির পাশের দালালরে কত কইরা বলতাছি, লাশটা আইন্যা দেওনের লাইগ্যা। শুধু খবর পাইছি, স্বামীর লাশ মর্গে আছে। আর কিছু জানবারও পারতেছি না। না পাইতেছি লাশ, না পাইতেছি কোনো খবর। এর মধ্যে ঋণের টাকার লাইগ্যা চাপ দিতাছে পাওনাদার।’
সৌদি আরবে যাওয়ার আগে ছয় লাখ টাকা ঋণ করেছিলেন জাহিদুল। দালাল বলেছিল, দেশটিতে গিয়ে মসজিদ পরিষ্কারের কাজ করতে হবে। কিন্তু যাওয়ার পর তাঁকে কাজ দেওয়া হয়নি। উল্টো কাজ পেতে আরও এক লাখ টাকা চাওয়া হয় তাঁর কাছে। সুমি বলেন, ‘স্বামী ছয় লাখ টাকা ঋণ কইরা বিদেশ গেছে। আবার এক মাস না পার হইতেই আরও এক লাখ টাকা কই পামু? আর তারপর তো শুনলাম, স্বামী মইরা গেছে।’ স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে একটি সুতার মিলে কাজ শুরু করেছেন।
নোয়াখালীর মোহাম্মদ হানিফ সৌদি আরবে যান গত বছরের মার্চে। যাওয়ার আগে চার লাখ টাকা ঋণ করেন। গত ১৬ জুন মারা গেছেন তিনি। স্ত্রী আফিয়া খাতুন মুঠোফোনে বলেন, ‘শুনছি, লাশ ফেরত আনতে চার লাখ টাকা লাগবো। চার লাখ ক্যান, চার টাকাও দিতে পারবো না। সরকার আমার স্বামীর লাশটা দেশে আনুক। পোলাপান বড় হইয়্যা তো বাপের কবর দেখতে চাইবো। লাশ দেশে ফিরবো, এ আশায় বইসা আছি।’
আফিয়ার বয়স ৩০ বছর। তিন ছেলে–মেয়ে তাঁর। বড় জনের বয়স ১১ বছর। বাকি দুজনের ৭ ও ৩ বছর। মাঝে শুনেছেন, সৌদি আরবে তাঁর স্বামীকে কবর দেওয়ার কথা চলছে। এটা শুনে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অফিসে যান। তাদের সহায়তায় আবেদন করেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে।
ইয়াসমীন বেগমের বাড়ি কুমিল্লায়। বয়স ৩৮ বছর। ১৮, ১১ ও ৩ বছর বয়সের তিন ছেলে–মেয়ে তাঁর। স্বামী কাজী সালাউদ্দিন গত ১৪ আগস্ট সৌদি আরবে মারা গেছেন। ইয়াসমীন বলেন, ‘শুনছি স্বামী খুন হয়েছেন। তাই লাশ দেশে আনতে নানা জটিলতা হইতেছে।’
এখন তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকছেন ইয়াসমীন। বাবা–মায়ের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। করোনা শুরুর আগে বিদেশ গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। বেতন কম ছিল বলে খুব বেশি টাকা দেশে পাঠাতে পারতেন না। এখনো দেনা আছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বড় মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন মেয়েকে আর পড়াতে পারবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে ইয়াসমীনকে।
ইয়াসমীন চান না, স্বামীর মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হোক। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্যান বিদেশে দাফন হইবো? আমি তো স্বামীর মুখটাও দেখলাম না।’
বিদেশে শ্রমিক মারা গেলে মরদেহ দেশে আনতে নানা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এ জন্য সময় লাগে। এ ছাড়া আইনি জটিলতা থাকলে সে ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ আরও বেশি হয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শোয়াইব আহমাদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদেশে আগুনে পুড়ে কোনো শ্রমিক মারা গেলে ডিএনএ প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন ধাপ পার হওয়ার পর তবেই মরদেহ দেশে আনা যায়। এ ছাড়া কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকলেও জটিলতা পোহাতে হয়। এতে অনেক সময় লেগে যায়।’’
কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে মোট ১৮ হাজার ১৬৬ জনের মরদেহ দেশে আনা হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনা, আগুনে পুড়ে, ভবন থেকে পড়ে ও বৈদ্যুতিক শকে মারা গেছেন ৩ হাজার ৬৯৮ জন।
মানিকগঞ্জের হাবিবুর রহমান সৌদি আরব গিয়েছিলেন ২০২১ সালে। গত ২৬ মার্চ সেখানে মারা যান তিনি। জেদ্দার শ্রমকল্যাণ উইং গত ২৩ এপ্রিল ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে পাঠানো এক চিঠিতে জানায়, হাবিবুরের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি যে কোম্পানির মাধ্যমে দেশটিতে গিয়েছিলেন, ওই কোম্পানি বন্ধ আছে। নিয়োগকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, হাবিবুর নিজ দায়িত্বে অন্য জায়গায় কাজ নিয়েছিলেন। তাই তিনি যে নিয়োগকর্তার অধীন সৌদি আরবে গিয়েছিলেন, মরদেহ ফেরত পাঠানোর জন্য তাঁকে বাধ্য করার সুযোগ নেই। হাবিবুরকে সৌদি আরবে দাফন করতে হবে।
হাবিবুরের মৃত্যুর খবর মাস দেড়েক পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। পরে মরদেহ দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ বিষয়ে হাবিবুরের বড় ভাইয়ের ছেলে ইয়াকুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাচার লাশ দেশে আনতে সহায়তা পেতে ব্র্যাকের কাছে যাই। সরকারি খরচে লাশ আনার জন্য মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। পরে সরকারি খরচে লাশ দেশে আনতে পারি।’
আবিরন বেগমের মরদেহ সৌদি আরব থেকে দেশে আসে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর। কফিনের সঙ্গে থাকা সনদে মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘হত্যা’। মৃত্যুর ৭ মাস পর ৪০ পেরোনো এ নারীর মরদেহ দেশে আসে। রিয়াদের একটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল মরদেহটি। ২৪ অক্টোবরের আগেও সরকারের পক্ষ থেকে একবার জানানো হয়েছিল, আবিরনের লাশ দেশে এসেছে। তবে সেবার দেশে আসা সেই লাশ ছিল অন্য নারীর। শুধু নামটাই মিল ছিল আবিরনের সঙ্গে।
আবিরনের বাড়ি খুলনায়। ২০১৭ সালে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যান তিনি। ২০২১ সালে আবিরন বেগম হত্যা মামলায় সৌদি আরবে তাঁর গৃহকর্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেন রিয়াদের একটি আদালত।
১৬ নভেম্বর আবিরনের বোন রেশমার স্বামী এস এম আইয়ুব আলী জানান, আবিরনের মরদেহ আনতে ভোগান্তি হলেও কোনো টাকাপয়সা খরচ করতে হয়নি। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং সৌদি মালিকের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
বিদেশে মারা যাওয়া কর্মীদের লাশ দেশে আনার চেষ্টায় পরিবারগুলোকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে থাকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। এ কাজে যুক্ত সংস্থাটির কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশে শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে লাশ দেশে আনতে সময় লাগে। অর্থনৈতিক সংকটের জন্য অনেক কোম্পানি মরদেহ পাঠানোর খরচ দিতে চায় না। রদেহ আনার জন্য কোথায় আবেদন করতে হবে, তা-ও জানে না অনেক পরিবার। ফলে তাদের নানা জায়গায় ঘুরতে হয়। নতুন করে দালালের খপ্পরেও পড়তে হয় অনেককে।
এসব জটিলতা এড়াতে বাংলাদেশ যেসব দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে, সেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেই সুস্পষ্টভাবে কর্মীর অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা মৃত্যু হলে করণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করার ওপর জোর দিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রধান অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই চুক্তিতে বাংলাদেশ এবং যে দেশে কর্মী যাচ্ছে, ওই দেশে কার কী দায়দায়িত্ব, তা উল্লেখ থাকতে হবে। লাশ দেশে আনার ক্ষেত্রে পরিবারের ভোগান্তি দূর করতে একটি পদ্ধতি দাঁড় করানো খুবই জরুরি।