কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়া সৈকতে আজ রোববার সকালে এক ব্যক্তির মরদেহ ভেসে এসেছে। স্থানীয় বেসরকারি ‘সি সেফ’ লাইফগার্ডের কর্মীরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, ভেসে আসা মরদেহটি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ কোনো জেলের। এ নিয়ে তিন দিনে সৈকতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার উপকূলে ইলিশ ধরতে গিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে গত শুক্রবার কলাতলী এলাকার সাগরে ডুবে যায় একটি ট্রলার। স্থানীয় লাইফগার্ডের সদস্যরা সাগরে তল্লাশি চালিয়ে ৯ জেলেকে উদ্ধার করলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন।
ট্রলারডুবির ঘটনার পর শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন সময় সৈকতে পাঁচ জেলের মরদেহ ভেসে এসেছিল। এর মধ্যে গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী সমুদ্রসৈকতে দুটি মৃতদেহ ভেসে আসে। একই দিন সকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সমিতি পাড়া পয়েন্ট থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এবং রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে ভেসে আসে দুই জেলের মরদেহ। ভেসে আসা মরদেহগুলো ডুবে যাওয়া ট্রলারের বলে মনে করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
শুক্রবার ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখন কলাতলী সৈকতে পড়ে আছে। একই সময়ে সাগরে আরও তিনটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এসব ট্রলারে অন্তত ৭০ জন জেলে রয়েছেন। সবার বাড়ি কক্সবাজারে। তবে ট্রলারগুলোর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যায়নি।
আজ সকালে কুতুবদিয়া পাড়া সৈকতে উদ্ধার করা মরদেহটির চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে বলে জানান সি সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলের হতে পারে। লাশটি সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে একাধিক ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। সাগর উত্তাল থাকায় গভীর সাগরে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতাও চালানো যাচ্ছে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. ইয়ামিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছে তিনটি ট্রলারের বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হওয়ার তথ্য আছে। ট্রলারগুলো নিরাপদ কোনো স্থানে অবস্থান করছে কি না, অথবা কোথাও ভেসে গেছে কি না, তার অনুসন্ধান চলছে।