দোকানে সাজিয়ে রাখা ছিল বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ ও শিশুখাদ্য। তবে এসব খাদ্যের প্যাকেট নামিয়ে দেখা গেল এসব পণ্যের প্যাকেটে নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। কিছু পণ্য ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। চট্টগ্রাম নগরের একটি নামী ওষুধের দোকানে গিয়ে এই চিত্র দেখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় নগরের ওষুধের দোকান লাজফার্মাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করেন সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার।
এ সময় কর্মকর্তারা দেখতে পান, হরলিক্স, ওটস, সেরেলাক, নিডো গুঁড়া দুধসহ বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। এ ছাড়া বিদেশি এসব পণ্য আমদানির কোনো প্রমাণ কিংবা নথিও নেই প্রতিষ্ঠানটির কাছে। অনুমোদনহীন বিদেশি খাদ্যপণ্য বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, পণ্যের গায়ে কোনো তারিখ নেই। আবার আমদানির কোনো নথিপত্র নেই। জিজ্ঞাসাবাদে পণ্যগুলো ব্যাগেজের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে। এসব অপরাধে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে।