কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে গেছে নৌবাহিনীর জেটি। আজ সকালে তোলা
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে গেছে নৌবাহিনীর জেটি। আজ সকালে তোলা

কক্সবাজারে সাগর উত্তাল, ভেঙে গেছে নৌবাহিনীর জেটি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র তাণ্ডবে কক্সবাজার উপকূল প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে পড়েছে। ঢেউয়ের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে সাত থেকে আট ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নির্মিত কয়েক শ ফুট লম্বা জেটির মধ্যভাগের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে জেটির অবশিষ্ট অংশেরও ক্ষতি হতে পারে। জেটিটি ভেঙে পড়ায় পর্যটকের সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে জেটিঘাট থেকে পর্যটক তুলে একাধিক জাহাজ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াতের কথা ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় দানা কক্সবাজার থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নৌবাহিনী জেটি দ্বিখণ্ডিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। তবে কী কারণে জেটি ভেঙেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।’

ঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল। এ কারণে কক্সবাজারে সৈকতে পর্যটকদের সতর্ক করছেন লাইফগার্ডের কর্মীরা

নৌবাহিনীর জেটি ভেঙে পড়ার কারণ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, এর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।