নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন চেয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সিডও দিবস পালন উপলক্ষে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে চাই সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন উই ক্যান অ্যালায়েন্সের জাতীয় সমন্বয়ক জিনাত আরা হক।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিডও সনদের মূল ভিত্তি নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। সিডও সনদের ২ ধারার ওপর বাংলাদেশ সরকারের এখনো সংরক্ষণ বহাল থাকায় প্রকৃত সমতা নিশ্চিত হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা জরুরি। দায়বদ্ধতা পালনে রাষ্ট্র কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তা পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদনের জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, একশনএইডের নুরুন নাহার বেগম, নাগরিক উদ্যোগের মাহবুব আক্তার, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শাহিদা পারভীন, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের সাহিদা ফেরদৌস, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফেরদৌসী সুলতানা, গণসাক্ষরতা অভিযানের সামসুন নাহার প্রমুখ।
নারীর প্রতি সব রকম বৈষম্য বিলোপ সনদকে (কনভেনশন অন দ্য এলিমিনেশন অব অল ফর্মস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন) সংক্ষেপে সিডও বলে।
নারী ও পুরুষের মধ্যে সব ধরনের বৈষম্য দূর করে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘে সিডও সনদ গৃহীত হয়। ১৯৮০ সালের ১ মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশ সনদটিতে স্বাক্ষর করে। ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ সনদ কার্যকর হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিডও সনদে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদে সমানাধিকারের বিষয়ে সিডও সনদের ২ ও ১৬ (১) (গ) দুটি ধারায় সংরক্ষণ বহাল রেখেছে বাংলাদেশ।