ঢাকা আর্ট সামিটে শিল্পকর্ম দেখছেন নানা বয়সের মানুষ
ঢাকা আর্ট সামিটে শিল্পকর্ম দেখছেন নানা বয়সের মানুষ

বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের শিল্পীদের সংযোগ ঘটিয়ে দিচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট: নাদিয়া সামদানী

৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় চলছে ষষ্ঠ ঢাকা আর্ট সামিট। সামিট চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকছে। সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১০ বছর ধরে শিল্পকলার এই আয়োজনে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পী, সমালোচক ও বিদগ্ধ জন নানাভাবে যুক্ত হয়েছেন। সামিট নিয়ে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সামিটের পরিচালক নাদিয়া সামদানী প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আশীষ-উর-রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: ঢাকা আর্ট সামিট কীভাবে ভূমিকা রাখছে? এর বৈশিষ্ট্য কী?

নাদিয়া সামদানী: এবার ঢাকা আর্ট সামিটের ষষ্ঠ সংস্করণ। আমরা দুই বছর পরপর আর্ট সামিট করি। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের শিল্পকর্মের অবস্থান বহির্বিশ্বে অনেক জায়গায় আছে। শিল্প জাদুঘর, বিয়েনাল, প্রদর্শনীতে আমাদের দেশের শিল্পকে কেউ উপেক্ষা করছে না। কারণ তাদের দেশে আমাদের দেশের শিল্পকলা দেখার জায়গা তৈরি হয়েছে। তারা এখন আমাদের শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে। আমাদের প্রদর্শনী বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। বড় বড় জাদুঘর আমাদের শিল্পীদের কাজ সংগ্রহ করছে। বিদেশের গ্যালারিগুলো বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব করছে। সব মিলিয়ে অনেক কিছুই হচ্ছে, যার নেপথ্যে ঢাকা আর্ট সামিটের ভূমিকা রয়েছে।

এবার ঢাকা আর্ট সামিটে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিদেশি দর্শক এসেছেন দেখতে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন জাদুঘর প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউশন, গ্যালারি, আর্ট ডিলার, সাংবাদিক আছেন। তাঁরাই আমাদের শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্যালারিতে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের তুলে ধরছেন। ফলে ঢাকা আর্ট সামিট একটা সেতুর মতো কাজ করছে। সামিটের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের শিল্পীদের একটি যোগসূত্র তৈরি করে দিই।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: ঢাকা আর্ট সামিটের যাত্রা কবে শুরু?

নাদিয়া সামদানী: আমরা ২০১১ সালে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন করি। এর পরের বছর ২০১২ সালে ঢাকা আর্ট সামিট শুরু। আমরা ভেবেছি বাংলাদেশের শিল্পীদের একটা প্ল্যাটফর্ম দেব। যাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিল্পীও বিশেষজ্ঞরা এসে আমাদের দেশের শিল্পকর্ম দেখেন। বাংলাদেশকে সব জায়গায় নিয়ে যান।

ঢাকা আর্ট সামিটের গ্যালারিতে শিল্পকর্মের ছবি তুলছেন এক দর্শনার্থী
প্রশ্ন

প্রথম আলো: শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে প্রতি দুই বছর পরপর এশিয়ান দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী হয়। ঢাকা আর্ট সামিটও দুই বছর অন্তর হয়। এমন আয়োজন করা কি সম্ভব, যে বছর এশিয়ান বিয়েনাল হবে, তার পরের বছর ঢাকা আর্ট সামিট। তাহলে প্রতিবছরই দেশে শিল্পকলা নিয়ে একটি বড় আন্তর্জাতিক আয়োজন হতে পারত।

নাদিয়া সামদানী: আগে এভাবেই হতো। শেষ আর্ট সামিট হয়েছে ২০২০ সালে। করোনার কারণে এবার তিন বছর পর হলো। বিয়েনাল ও সামিট আসলে দুটি দুই জিনিস। বৈশিষ্ট্যও আলাদা। পাল্টাপাল্টি বছরে করতে গেলে আমাদের আবার তিন বছর পরে করতে হবে। আবার সময় এগিয়ে এনে এক বছর পরেও আমরা করতে পারব না। কারণ আমাদের আয়োজনটি হয় গবেষণার ওপর ভিত্তি করে। বিষয় নির্বাচন করে দুই বছর ধরে আমরা তার ওপরে কাজ করি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এবারের সামিটের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?    

নাদিয়া সামদানী: ঢাকা আর্ট সামিট হলো কিউরেটরদের সুপরিকল্পিত একটি আয়োজন। এটা গবেষণামূলক আয়োজন। এটার একটা থিম বা মূল ভাবনা আছে। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কিউরেটরদের সঙ্গে কাজ করি। প্রতিটা কাজ, প্রতিটা জিনিস যা এখানে আছে, তা একটা নির্দিষ্ট করণে আছে। কোনো কিছুই অকারণে নেই। আমরা নিজেরা এসে ছবি ঝুলিয়ে দিলাম এমন না। থিম ধরে কাজ হয়। সঠিক আলোক প্রক্ষেপণ আছে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এবারের থিম বন্যা কেন?

নাদিয়া সামদানী: বন্যা কিন্তু আমাদের একটা মেয়ে বাচ্চারও নাম। আমরা আমাদের মেয়ের নামও রাখি বন্যা। এ থেকেই বোঝা যায় বন্যা কিন্তু আমাদের কাছে একটা ইতিবাচক বিষয়। অনেক গান আছে বন্যা নিয়ে। বন্যা কিন্তু বিপর্যয় নয়। ইংরেজিতে বললে ‘ফ্লাড’। এই অর্থে কিন্তু কেউ তার সন্তানের নাম রাখবে না। এটা থেকেই কিন্তু প্রমাণ হয় বন্যাকে আমরা কীভাবে দেখি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এখন সারা বিশ্বেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কেবল আমাদের দেশেই এর প্রতিক্রিয়া কবলিত হচ্ছে না। সারা বিশ্বই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা সব সময় সমসাময়িক বিষগুলো নিয়ে কাজ করি। মানুষ হিসেবে আমরাই তো পৃথিবীটাকে ধ্বংস করছি। তাই মানুষ হিসেবে আমাদেরই পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য রাখতে হবে। সে কারণেই বন্যা মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে এসেছে।

জাতীয় চিত্রশালায় ঢাকা আর্ট সামিটে নাদিয়া সামদানী
প্রশ্ন

প্রথম আলো: গত ১০ বছরে বাংলাদেশের চারুকলার অগ্রযাত্রায় ঢাকা আর্ট সামিটের অর্জন কী? তাৎপর্যটি কেমন?

নাদিয়া সামদানী: অগ্রগতি অবশ্যই আছে। এখন যখন আমি দেশ-বিদেশে যাই, বিভিন্ন জাদুঘরে যাই, তখন অনেক জায়গায় বাংলাদেশের শিল্পীদের উপস্থিতি দেখি। কেন দেখি, ঢাকা আর্ট সামিটের জন্য। এটাই অর্জন। এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল যে বাংলাদেশকে বিশ্বের আর্ট ম্যাপে নিয়ে আসব। এমন একটা আয়োজন করব যে বিদেশ থেকে লোক আসবেন আমাদের শিল্পকলা দেখতে। তাঁরা আমাদের শিল্পকে তাঁদের দেশে নিয়ে যাবেন। এখন আন্তর্জাতিক চারুকলার ক্ষেত্রে ক্রমেই বাংলাদেশ জায়গা করে নিচ্ছে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: ঢাকা আর্ট সামিটের মতো এত বড় আয়োজনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা হচ্ছে কীভাবে? সরকারি বা অন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পান?

নাদিয়া সামদানী: ঢাকা আর্ট সামিট সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য একটি উন্মুক্ত আয়োজন। কোনো বাণিজ্যিক বিষয় নেই। আমরা চেয়েছি সবাই যেন এখানে আসতে পারেন। এমনকি যাঁরা কোনো দিন শিল্পকর্ম দেখেননি, এ সম্পর্কে বোঝেন না, কোনো ধারণা নেই, তাঁরাও যেন আসেন। এলে তাঁরা দেখবেন। ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়বে, উৎসাহী হবেন। এটাই লক্ষ্য। সারা দিন অনেক পারফরম্যান্স হয়। অনেক কিছু হয়। এটা পুরোটাই আমাদের নিজস্ব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হারভেস্ট অর্থায়ন করে। শিল্পকলা একাডেমি শুধু তাদের ভবনটি আমাদের ব্যবহার করতে দিয়ে সহায়তা করে। আর কোনো আর্থিক সহায়তা নেই।

ঢাকা আর্ট সামিটে শিল্পকর্ম দেখছেন দর্শনার্থীরা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: নিজ অর্থায়নে অনেক বড় ভালো আয়োজন অনেক সময় বন্ধ হতে দেখা গেছে। সে ক্ষেত্রে সামিটের মতো এত বড় আয়োজনের ভবিষ্যৎ কতটা নিশ্চিত?

নাদিয়া সামদানী: যেহেতু আমাদের বাইরে থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা নেই, তাই আমরা যত দিন পারি তত দিন করব।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যদি যুক্ত হতে চায়?

নাদিয়া সামদানী: অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক যুক্ততা আমরা আশা করি না। আমরা নিজেদের মতো করে কাজ করি। আর বিদেশের যে কিউরেটরদের সঙ্গে আমরা কাজ করি, তারা আমাদের ওপর আস্থা রাখে। আরও অনেকে এর সঙ্গে যুক্ত হলে অনেক রকম মতামত আসবে। সে ক্ষেত্রে ঠিক যা করতে চাই, তা করা যাবে না। গুণগত মান বজায় রাখা যাবে না। আমাদের প্রধান চেষ্টা থাকে গুণগত মানটা বজায় রাখা। অনেকে জানতে চান কত দেশের আর্টিস্ট আসছেন? এবার কি আরও বড় হচ্ছে? আমরা কিন্তু এভাবে বড় বা ছোট এমন করে দেখি না। কতগুলো দেশ, কতগুলো শিল্পী এটা বড় না। মূল বিষয়টি হলো তাদের কাজের গুণগত দিক যেন সমুন্নত থাকে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এই গুণগত মানের বিচার করা হয় কীভাবে?

নাদিয়া সামদানী: এটা আমাদের কিউরেটররা করেন। আমাদের ফাউন্ডেশনের শিল্প পরিচালক ও প্রধান কিউরেটর ডায়ানা ক্যাম্পবেল বেটানকোর্ট। তিনি মার্কিন নাগরিক। এ ছাড়া একেকটি প্রদর্শনীর জন্য একেকজন পৃথক কিউরেটর কাজ করেন। একটি সামিট থেকে আমরা যা শিখি, যে অভিজ্ঞতা হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই পরের সামিটের বিষয় নির্বাচন এবং কর্মপরিকল্পনা শুরু হয়। পরের আয়োজনে এর ছাপ পড়ে। ফলে একটা ধারাবাহিকতা থাকে। পুরো কর্মকাণ্ডের একটি পরম্পরা আছে। বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এই সামিটগুলোর কোনো প্রামাণ্যচিত্র বা এমন কিছু আছে?

নাদিয়া সামদানী: হ্যাঁ, প্রতিটি সামিট নিয়ে আলাদা করে অনেক ছোট ছোট ছবি আছে, ভিডিও আছে। এগুলো ইউটিউবেও দেওয়া আছে। ঢাকা আর্ট সামিট সার্চ দিয়ে যে কেউ দেখতে পারেন।

ঢাকা আর্ট সামিটে নাদিয়া সামদানী
প্রশ্ন

প্রথম আলো: আগামী পরিকল্পনা কেমন?

নাদিয়া সামদানী: আমরা একটি ভাস্কর্য উদ্যান ও শিল্পকলা কেন্দ্র করছি সিলেটে। এটা হবে আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। এখানে শিল্পীদের জন্য রেসিডেন্সি, আর্ট সেন্টার, ভাস্কর্য উদ্যান হবে। প্রায় ১০৫ একর জায়গার ওপর এটি তৈরি হচ্ছে। কাজ চলছে প্রায় পাঁচ বছর থেকে। কোভিডের জন্য একটু দেরি হয়েছে। রেসিডেন্সি হয়তো আগামী মাসখানেকের মধ্যে শুরু হবে। ধীরে ধীরে ভাস্কর্য উদ্যান গড়ে উঠবে। শিল্পকর্মের সংগ্রহশালা থাকবে। কর্মশালা হবে। বিভিন্ন রকম কার্যক্রম চলতে থাকবে। এটা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খোলা থাকবে। কোনো টিকিট লাগবে না। সম্পূর্ণ ফ্রি। এই জায়গাটি হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের কাছে। রাতারগুল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এর আগে আপনারা শিল্পকলা একাডেমিতেই আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সঙ্গে ফরাসি আলোকচিত্রী অ্যান ডি হেনিংয়ের তোলা মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেছিলেন।

নাদিয়া সামদানী: তাঁকে আমারই খুঁজে পাই। ২০২০ সালে আমরা আর্ট সামিটে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘লাইটিং দ্য ফায়ার অব ফ্রিডম’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী করি। অ্যান ডি হেনিংয়ের এক মেয়ে আমাদের আর্ট সামিটের দর্শক হিসেবে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। তিনি জানান, তাঁর মা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা এসেছিলেন এবং অনেক ছবি তুলেছিলেন। পরে তাঁর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ হয়েছে। আমরা ফ্রান্সে গিয়ে তাঁর সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। ৫০ বছর আগের তোলা অনেক ছবি ছিল তাঁর মায়ের ব্যক্তিগত আর্কাইভে। সেখান থেকে নেগেটিভ খুঁজে বের করে প্রিন্ট করে আমরা প্রদর্শনী করেছি। এখন সেই প্রদর্শনীটি ফ্রান্সের গিমে মিউজিয়ামে আছে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: গত ১০ বছরে বাইরে থেকে যে শিল্পী বা দর্শকেরা এলেন, তাঁদের আমাদের শিল্পকলা, দেশ সংস্কৃতি এসব নিয়ে সার্বিক প্রতিক্রিয়া কেমন?

নাদিয়া সামদানী: দারুণ ইতিবাচক। আমরা যেভাবে সামিট আয়োজন করেছি, তাঁরা অত্যন্ত মুগ্ধ। আমাদের সংস্কৃতির ভেতরেই মেহমানদারি আছে। তাঁরা বলেন, এখানে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। আমাদের বলেছেন, সামিটের জন্য তাঁরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা গত পাঁচটি সামিটেই অংশ নিয়েছেন।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনারা কি তাঁদের ব্যয়ভার বহন করেন?

নাদিয়া সামদানী: আমরা শুধু আমাদের কিউরেটর এবং অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের আমাদের ব্যবস্থাপনায় আনি। অন্য যে প্রায় পাঁচ শ জন দর্শক আসেন, তাঁরা নিজেদের খরচে আসেন। আমরা তাঁদের আমন্ত্রণ জানাই আর এখানে হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিই। হোটেল থেকে সামিটে বা বিমানবন্দরে যাতায়াতের যানবাহনের ব্যবস্থা করি। এটুকুই।  

প্রশ্ন

প্রথম আলো: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

নাদিয়া সামদানী: আপনাকেও ধন্যবাদ। সবাইকে সামিটে আসার জন্য আমন্ত্রণ।