৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৪ পরীক্ষার্থী গত মাসে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ নাভিলা কাশফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
পরে আইনজীবী শাহ নাভিলা কাশফি প্রথম আলোকে বলেন, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে সিআইডিকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিলে পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিবসহ ১৯ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে হবে।
এর আগে ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়। এ বছরের ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত ৯ মে প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ প্রার্থী।
‘বিসিএস প্রিলি–লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হয়। এই সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৪ প্রার্থী গত মাসে রিটটি করেন।