দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে গতকাল শনিবার বৃষ্টি হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টিও হয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আজ রোববারও অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল সন্ধ্যায় পূর্বাভাসে জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে আজ খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি থেকে অতিভারী বৃষ্টিও হতে পারে। অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া এবং বজ্রপাত হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গতকাল দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে—১৯৬ মিলিমিটার। বান্দরবানে ১৪৩ মিলিমিটার, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৩৪ মিলিমিটার, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১২৫ মিলিমিটার, ফেনীতে ১১৩ মিলিমিটার, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১০৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৯৯ মিলিমিটার, আমবাগানে ৯৯ মিলিমিটার, নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ৯৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামের হাতিয়ায় ৭৮ মিলিমিটার, টেকনাফে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনার কয়রা, চাঁদপুর, কুমিল্লা, সিলেট, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, সিরাজগঞ্জের তাড়াশসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও গতকাল এখানে হালকা বৃষ্টি হয়েছে, যার পরিমাণ এক মিলিমিটার।
রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগে গতকাল বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল, কোনো কোনো বিভাগে ছিলও না। এতে এসব বিভাগে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি ছিল। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে—৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা, চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ২৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একই ধরনের থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজও বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কিছুদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল জানিয়েছে, আজ ও আগামীকাল সোমবার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় এই সময়ে এ অঞ্চলের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, কর্ণফুলী, মাতামুহুরীসহ প্রধান প্রধান নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।