বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে

বিশ্ব হার্ট দিবস

খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেশি চট্টগ্রামের মানুষের

খাদ্যাভ্যাসের কারণে চট্টগ্রামের লোকজন হৃদ্‌রোগের বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এ জন্য সচেতন হতে হবে। খাবারের পাশাপাশি শরীরের যত্ন নিতে হবে।

আজ রোববার বিকেলে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। সার্কিট হাউস মিলনায়তনে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হৃদ্‌রোগ বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক প্রবীর কুমার দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওমর ফারুক ইউসুফ। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুস সালাম।

ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তারেক ইকবাল ও ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন চৌধুরী।এই আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘যদি সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসেন তাহলে হার্ট ফাউন্ডেশন আরও গতি পাবে। গরিব মানুষের জন্য একটা ভালো চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দাঁড়াতে পারবে। এতে করে চিকিৎসাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা যাবে। আমরা চাই, রোগী কমে আসুক। এ জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক প্রবীর কুমার দাশ বলেন, ‘একসময় উন্নত বিশ্বের রোগ ছিল হৃদ্‌রোগ। এখন আমাদের মতো দেশগুলোয় এই রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে হৃদ্‌রোগ। চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণে এই রোগের ঝুঁকি বেশি।’

অধ্যাপক ওমর ফারুক ইউসুফ বলেন, জিনগত, খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসসহ নানা কারণে হার্টের ঝুঁকি বাড়ে। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, ‘সবার সম্মিলিত চেষ্টায় দুই বছর ধরে হার্ট ফাউন্ডেশন এগিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি রোগীকে স্বল্প খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে। এ জন্য দরকার আরও মানুষের সহযোগিতা। চট্টগ্রামে আমরা বড় বড় মেজবান করি। আবার মেজবানের খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ জন্য আমরা অনেককে পরামর্শ দিয়ে থাকি, মেজবানের খরচ সীমিত করে কিছু টাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে দান করুন। এতে করে গরিব রোগীরা সেবা পাবে।’