দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানান এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল। বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণমাধ্যমের প্রত্যাশিত ভূমিকা ও সাংবাদিকতার পরিবেশ প্রভাবমুক্ত রাখার দাবিও জানানো হয়।
গত কয়েক দিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এমএসএফ বলেছে, যেকোনো অবস্থাতেই সন্ত্রাসমূলক ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা অভিপ্রেত নয়। এসব ঘটনায় বহু নিরীহ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার চেয়েও বড় কথা, এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে সমাজে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়, যা মানবধিকার ও সুশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ বলেছে, গতকাল দুপুরে একদল ব্যক্তি হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সামনে আসে। তারা জোরপূর্বক প্রধান ফটক খুলে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা কালের কণ্ঠ ও রেডিও ক্যাপিটালের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে। পরে বাইরে থাকা ২০-২৫টি গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করে। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পাশাপাশি তিনটি ভবনে কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর, নিউজ টোয়েন্টিফোর চ্যানেল, টি-স্পোর্টস ও ক্যাপিটাল এফএম রেডিও অবস্থিত।
১৪ আগস্ট একই প্রক্রিয়ায় হামলা চালিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবদিক আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া ৫ আগস্ট মাগুরায় সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর, পাবনার চাটমহরে সাংবাদিক সঞ্জিত সাহা ও কক্সবাজারে সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিলের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়।