নিয়োগের তিন দিনের মাথায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে অবসরে যাওয়া পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চুক্তি ভিত্তিতে সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ শনিবার এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জনপ্রশাসনে বড় পরিবর্তনে হাত দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৪ আগস্ট এক দিনেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ ১১ জন সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়। এ ছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠিয়ে নতুন সচিব দেওয়া হয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. মোকাব্বির হোসেনকে জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব করা হয়েছিল। আজ তাঁকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) পদে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে যে পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তি ভিত্তিতে সচিব করা হয়েছে তাঁর মধ্যে শেখ আবদুর রশিদকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, মো. এহছানুল হককে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে জননিরাপত্তা বিভাগ, নাসিমুল গনিকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগ এবং এম এ আকমল হোসেন আজাদকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। তাঁদের দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মাহবুব মোর্শেদকে দুই বছরের জন্য বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাঁকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ।
বাংলা একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিতে থাকা পাঁচজনের চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশ্য তাঁদের কেউ কেউ আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
যাঁদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. হারুন–উর–রশিদ আসকারী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর এবং ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।