পাখিটি ডানা মেলে পড়ে ছিল, দেখে খুব কষ্ট লেগেছিল

কামাল: না, জাকির নামের এক কিশোর ছুটে এসে খবরটি জানায়। দেরি না করে ছুটে যাই।

কামাল: কয়েক বছর ধরে বন্য প্রাণী ও পাখি সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছি। মানুষ সেটা জানে। কিশোরটি সে কারণেই জানিয়েছে।

কামাল: গিয়ে দেখি পাখিটি ডানা মেলে ধানখেতে পড়ে আছে। উঠে দাঁড়াতে পারছিল না। দেখে খুব কষ্ট লেগেছিল।

কামাল: এলাকার বড় ভাই খোরশেদ আলমকে ফোন করি। তিনি দ্রুত ছুটে আসেন। তাঁর মোটরসাইকেলে করে পাখিটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

কামাল: না, এখনো সুস্থ হয়নি। চিকিৎসার পর পাখিটিকে বাড়ি নিয়ে এসেছি।

কামাল: বাড়িতে বাজার থেকে মাছ কিনে এনে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রথম দিন খেয়েছে। পরে খাচ্ছিল না।

কামাল: পাখিটি কোনো রোগে আক্রান্ত বোধ হয়। সে জন্য মৌলভীবাজারের বন্য প্রাণী বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এসে শুক্রবার বিকেলে পাখিটিকে নিয়ে গেছে [সেখানে পাখিটির চিকিৎসা চলছে]।

কামাল: জুড়ীর তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে পড়ছি।

কামাল: মা, বাবা আর ছোট এক বোন। বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।

কামাল: বাড়ির কাছেই লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন। পাথারিয়া বন্য প্রাণী সংরক্ষণ টিম নামের স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করি।

কামাল: আমাদের এলাকাটা পাহাড়ি। মাঝেমধ্যে হনুমান, লজ্জাবতী বানর ও অজগরের দেখা পাওয়া যায়। লোকালয়ে এলে মানুষ প্রাণীগুলোকে ধরে ফেলে। তখন বন বিভাগকে খবর দিই।

কামাল: একেবারে বন্ধ হয়নি। অনেকে লুকিয়ে ধানখেতে বিষটোপ দিয়ে, ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে।

কামাল: সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধুবান্ধব, পরিচিত অনেকে ফেসবুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।