ডেঙ্গু
ডেঙ্গু

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়াল। তবে তাঁদের মধ্যে ৯৮ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। মারা গেছেন ৫৬১ জন।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ১ লাখ ২৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে চলতি মাসে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬০ জন। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯৮ হাজার ২৬৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত এই রোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বরিশাল বিভাগ ও খুলনা বিভাগে একজন করে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ডিসেম্বরের ২১ দিনে ডেঙ্গুতে ৭৩ জনের মৃত্যু হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৫, ঢাকা বিভাগে (দুই সিটি করপোরেশন বাদে) ২২, বরিশাল বিভাগে ১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২, খুলনা বিভাগে ১১, রাজশাহী বিভাগে ৮ ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন।

দেশে গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।

শীত এলে ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণত কমে আসে। তবে কয়েক বছর ধরে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে দেশে। এবার এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৪৯ রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ১৮ হাজার ৪৩২ জন ভর্তি হয়েছেন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৬৬৭ ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

অপর দিকে এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ২৩৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোয়। এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের ও বরিশালে ৫৯ জনের।