শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টানা এক সপ্তাহ ধরে অচল হয়ে আছে।
১ জুলাই শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির মাঝে গত দুই দিন (শুক্র ও শনি) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আজ রোববার আবার কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। এই কর্মসূচির কারণে তালা ঝুলছে শ্রেণিকক্ষ ও অফিসে। এ কারণে ক্লাস, পরীক্ষা হচ্ছে না।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বিভিন্ন কক্ষ তালা লাগানো অবস্থায় দেখা গেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা কলাভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
এ রকম পরিস্থিতি বেশি দিন চললে শিক্ষার পুরোনো ব্যাধি সেশনজট আবার তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সংকট সমাধানের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার একটি কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া আজ প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত আলোচনার কোনো খবর নেই। তবে তিনি আশা করছেন, আলোচনার টেবিলে বসতে পারলে, তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পারলে সরকার তা মেনে নেবে।
নিজামুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
গত বুধবার নিজামুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। অবশ্য পরদিন আবার তিনি জানান, মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যস্ত থাকায় আলোচনায় বসতে পারেননি। তবে শিগগির বসবেন।
শিক্ষকদের দাবি তিনটি হলো—সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিল। সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবেরা যে গ্রেডে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি। শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো।