দেশে নভেম্বর মাসে গণপিটুনির ২১টি ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৫ জন। এ সময় ১০৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯৯ জন।
আজ মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) নভেম্বর মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
এইচআরএসএস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, নভেম্বরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতা, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা, রাজনৈতিক মামলা, গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, শ্রমিক হত্যা, কারা হেফাজতে মৃত্যু, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, সীমান্ত হত্যা, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে মানবাধিকার পরিস্থিতির কিছু বিষয়ে উন্নতি হলেও সার্বিক পরিস্থিতির আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
গত নভেম্বরে মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্থির ও সহিংসতাপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে এইচআরএসএসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিকে ঘিরে চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনা ছিল গত মাসের সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, আদালতে আমীর হোসেন আমুর আইনজীবীকে মারধর, এজলাসে বিচারককে ডিম নিক্ষেপের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে পিটুনি দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্তত ১২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২২৫ জন আহত হয়েছেন।
এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতার যে ১০৩টি ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫১টি ঘটনা ঘটেছে বিএনপির অন্তর্কোন্দলে, ২৩টি বিএনপি–আওয়ামী লীগের মধ্যে। গত মাসে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪২৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী।
গত মাসে অন্তত ২৭টি ঘটনায় ৪৬ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে এইচআরএসএস মাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।