স্টার্টআপ (নতুন পণ্য বা সেবা প্রদানের উদ্যোগ) খাতের বিকাশে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী জাপান। এ লক্ষ্যে দুই দেশ স্টার্টআপ বিনিময় করবে। আজ সোমবার এ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির বৈঠক হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে বৈঠকে তাঁরা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্টার্টআপ বিনিময়, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্মেলন আয়োজন, জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ। তাঁর এ প্রস্তাবে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বাংলাদেশের ২৫টি এবং জাপানের ২৫টি করে ৫০টি স্টার্টআপ বিনিময় করার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
স্পারসো-এটুআই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
সোমবার বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্পের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। মহাকাশবিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত ও গবেষণা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মিলনায়তনে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের উপস্থিতিতে স্পারসোর চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদ এবং এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।