এক মতবিনিময় সভা শেষে পেট্রোবাংলা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান
এক মতবিনিময় সভা শেষে পেট্রোবাংলা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

মন্ত্রণালয় চাইলেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে না: জ্বালানি উপদেষ্টা

সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এখন মন্ত্রণালয় চাইলেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে না। এ ছাড়া জ্বালানি নিশ্চিত না করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার মতো অর্থহীন প্রকল্প নেওয়া হবে না।

আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।

ফাওজুল কবির বলেন, বিধি সংস্কারের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা হবে। এগুলো করতে না পারলে তিনি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ফিরে যাবেন বলে জানান।

জ্বালানি তেলের দাম এখনো নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের বিষয়টি তিনি দেখবেন। তিনি বলেন, এখন থেকে সবকিছুই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হবে। যাতে কম দামে ভালো জিনিসটা পাওয়া যায়। আর জ্বালানি নিশ্চিত না করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার মতো অর্থহীন প্রকল্প নেওয়া হবে না।

নিজেরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকতে চান উল্লেখ করে ফাওজুল কবির খান বলেন, সব উপদেষ্টা সম্পদের হিসাব দেবেন, সংস্থা প্রধানদেরও এটা দিতে হবে। দুর্নীতি করলে সচিবকেও বদলানো হবে, যতই দক্ষ হোক। হাজার হাজার জোড়া চোখ দেখবে। দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে খবর চলে আসবে। তাই সাবধানে থাকবেন। আর সচিব নিজে কোম্পানির চেয়ারম্যান হলে জবাবদিহি হয় না। এখন কোম্পানির বোর্ডে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

পেট্রোবাংলার উন্নয়ন মূল্যায়নের বিষয়ে ফাওজুল কবির বলেন, এখন থেকে দেখা হবে, দেশি উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে কি না। তুলনামূলক কম দামে আমদানি করা হয়েছে কি না। এসবই হবে প্রকৃত উন্নয়নের মাপকাঠি। গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি, কম দামে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানি করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সমান সুযোগ তৈরির কথা জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, সবকিছু ঢাকা হবে, মানিকগঞ্জে না কেন। মানিকগঞ্জের মানুষও তো গ্রাহক। গ্যাসের লাইন দিলে গ্যাস দেবেন না কেন। রেশনিং করলে ঢাকাতেও করতে হবে। এখন থেকে গ্রাহকসেবা দেখা হবে। এ ছাড়া ১৬ বছরের অনেক বৈষম্য ও বঞ্চনা আছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।