মুঠোফোনে ব্যাগ লাগার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মারধরের একপর্যায়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা ওই ছাত্রের শরীরে লাথি দিলে তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম রিদওয়ানুল হক। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী (যমুনা ব্লকের ১০০০৫ নম্বর কক্ষ)। অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান ওরফে নূর জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক (যমুনা ব্লকের ৮০০৫ নম্বর কক্ষে থাকেন)। মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী রিদওয়ানুল হক বলেন, আমি বুধবার হলের পাঠকক্ষে পড়াশোনা শেষ করে লিফটে উঠছিলাম। তখন আমার ব্যাগ তাঁর মুঠোফোনে লেগেছে, এমন অভিযোগ তুলে রাকিবুল ইসলাম লিফটের সামনেই উচ্চবাচ্য করেন। সবার সামনে তিনি আমার পরিহিত হুডি টেনে আমাকে লিফটের বাইরে নিয়ে যেতে চাইছিলেন। পরে তিনি আমার পিছু নেন। আমি তৎক্ষণাৎ আমার ফ্লোরের এক বড় ভাইয়ের কক্ষে অবস্থান নিই। এর মধ্যে তিনি আমার সঙ্গে আরও চড়া গলায় অশ্রাব্য গালি দিয়ে আমার দিকে ধেয়ে আসেন। একপর্যায়ে তিনি আমার মুখের ডান পাশে আঘাত করেন। একই সঙ্গে তিনি আমার শরীরে লাথি দেন। আঘাতে আমি চেতনা হারাই। পরে বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি রাকিবুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
যোগাযোগ করা হলে রিদওয়ানুল বলেন, হল প্রাধ্যক্ষ এ ঘটনার বিচার করার আশ্বাস দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, রিদওয়ানুলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে৷ ঘটনাটি ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। আমি কাউকে আঘাত করিনি। ধাক্কাধাক্কির কারণে আমার হাতেও তাঁর নখের আঁচড় আছে। মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।