ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খানের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান। মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত ২৩ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। সেদিন মামলাটি আমলে নিয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে আজ বুধবার আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় আজ রহমত উল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বাদীপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রহমত উল্লাহর জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। এ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রহমত উল্লাহর নামে মানহানির মামলা করতে রাজধানীর গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। তবে পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
পরদিন রোববার বিকেলে শাকিব খান তাঁর অভিযোগ নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শাকিব খানের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
পরে তিনি রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চাঁদাবাজি ও মানহানির মামলা করেন। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সেই মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
অবশ্য ১৮ এপ্রিল শাকিব খানের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির মামলা করেছেন রহমত উল্লাহ। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রহমত উল্লাহর আইনজীবী তাবারক হোসেন ভূঁঞা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁর মক্কেল একজন প্রযোজক। কিন্তু চিত্রনায়ক শাকিব খান তাঁকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য তিনি আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।