২০২৪ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮১০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হওয়ার আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। বছর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগী ছিলেন এক লাখের বেশি। মারা গেছেন ৫৬৯ জন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও ডেঙ্গু যথেষ্ট মনোযোগ পায়নি। বছরজুড়েই ছিল ডেঙ্গু–আতঙ্ক।
এ বছর চিকিৎসাক্ষেত্রে বেশি আলোচনায় এসেছে জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় আহত ব্যক্তিদের বিষয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আগস্টের শেষ সপ্তাহে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আন্দোলনের সময় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করাই তাঁর অগ্রাধিকার। যদিও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
সরকার স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন করেছে। আশা করি, কমিশন প্রতিবেদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করবে।সৈয়দ আবদুল হামিদ, অধ্যাপক, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বছরের প্রথম সাত মাস মন্ত্রণালয় চালিয়েছে একটি রাজনৈতিক সরকার। এরপর দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, স্বাস্থ্য খাত অনেকটাই দিকনির্দেশনাহীন অবস্থায় পড়েছে। নেতৃত্বের সংকট চলছে। আর্থিক দুর্নীতির বড় ধরনের কোনো সংবাদ প্রকাশ না পেলেও বদলি ও পদায়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
স্বাস্থ্য খাতে বছরটি কেমন গেল—এমন প্রশ্নের উত্তরে নাগরিক সংগঠন সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশের আহ্বায়ক কাজী সাইফউদ্দীন বেন্নূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য প্রশাসনে স্থবিরতা ও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। কিছুটা এলোমেলো পরিস্থিতি। অপরিকল্পিত বদলি–পদায়ন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিয়োগে দীর্ঘ সময় ধরে সিদ্ধান্তহীনতা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ঘেরাও—এ ধরনের ঘটনায় স্বাস্থ্য খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন কী করছে, মানুষ তা জানে না। আশার কথা এই যে নীতিনির্ধারকেরা লাগামহীন দুর্নীতিতে না জড়িয়ে সদিচ্ছার পরিচয় দিচ্ছেন।’
জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় বড় বড় শহরে, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো অপ্রত্যাশিত রোগীর চাপের মধ্যে পড়ে। ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই এবং আগস্টের প্রথম পাঁচ দিন শত শত আহত রোগী জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে থাকেন। এর অধিকাংশ রোগী ছিলেন গুলিবিদ্ধ। চোখে ও শরীরে ছররা গুলির আঘাত নিয়ে আসেন হাজারের বেশি মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলোকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) থেকে বলা হয়, ওই সময় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১১ হাজার ৩১৩ জন এবং মারা গেছেন ৮৩৪ জন। এঁদের প্রত্যেকের পরিচয় ও কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে আহত ও নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বেশি। বাকি আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় ও চিকিৎসার কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলমান।
অনেকে গুরুতর আহত হওয়ার কারণে এখনো হাসপাতালে আছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে নিয়মিত ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আসা–যাওয়া করেন। গতকাল ঢাকার ছয়টি হাসপাতালে ২৪১ জন (ঢাকা মেডিকেলে ১১ জন, বিএসএমএমইউয়ে ২৪ জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৬৫ জন, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৩ জন, পঙ্গু হাসপাতালে ১০২ জন ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩৬ জন) ভর্তি ছিলেন। এ ছাড়া বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। একজনের ২৬ ডিসেম্বর যাওয়ার কথা। এ ছাড়া আরও ২১ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকলেও তাঁরা একাধিকবার অবহেলা বা অপর্যাপ্ত চিকিৎসার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন। একবার তাঁদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সরকারি হাসপাতালের পরিচালক প্রথম আলোকে বলেছেন, বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব এমন সর্বোচ্চ চিকিৎসা আহত ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়, এমন কয়েকজনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন অনেকেই বিদেশে যেতে চাইছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। একজনের ২৬ ডিসেম্বর যাওয়ার কথা। এ ছাড়া আরও ২১ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২৩ সালে অর্থাৎ গত বছর। সরকারি হিসাবে গত বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। এত বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু এর আগে হয়নি। তারপরও এ বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও রোগী ব্যবস্থাপনায় বাড়তি উদ্যোগ নেয়নি।
এ কারণে ২০২৪ সালের শুরু থেকে ডেঙ্গু নিয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন, পাশাপাশি মৃত্যুর খবরও আসতে থাকে। বছরজুড়ে তা অব্যাহত রয়েছে। ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসে। কিন্তু এ মাসে এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, মারা যান ৮১ জন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারও ডেঙ্গুর ব্যাপারে বাড়তি বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতানুগতিক কাজই করেছে। সে কারণে যে উদ্বেগ নিয়ে ২০২৪ সাল শুরু হয়েছিল, সেই একই উদ্বেগ নিয়ে ২০২৫ সাল শুরু হতে যাচ্ছে।
সরকার পরিবর্তনের পর অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর, প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পরিবর্তন আসে। সবচেয়ে বড় বিতর্ক দেখা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ নিয়ে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সখ্য থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে সরিয়ে দেয়। মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে নিয়োগ দেয়। এই নিয়োগের প্রথম বিরোধিতা করে বিএনপি–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। এরপর বিরোধিতা শুরু করে জামায়াত–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসকদের একটি অংশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। রোবেদ আমিন এক দিনের জন্যও মহাপরিচালকের পদে বসতে পারেননি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারও ডেঙ্গুর ব্যাপারে বাড়তি বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতানুগতিক কাজই করেছে। সে কারণে যে উদ্বেগ নিয়ে ২০২৪ সাল শুরু হয়েছিল, সেই একই উদ্বেগ নিয়ে ২০২৫ সাল শুরু হতে যাচ্ছে।
বড় বা গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চিকিৎসক বা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হতে থাকে। বৈষম্যের শিকার ড্যাব বা এনডিএফের চিকিৎসকদের সেসব পদে বসানো শুরু হয়। তবে অভিযোগ আছে, অনেক ক্ষেত্রে দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করা হয়নি। আবার বদলি হওয়া কিছু চিকিৎসককে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ চিহ্নিত করে কর্মক্ষেত্রে যোগ না দেওয়ার হুমকি দেয় চিকিৎসকদের একটি দল।
এই সময়ে সচিব পর্যায়েও বদলি ঘটেছে একাধিকবার। আওয়ামী লীগ আমলের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার দুজন সচিবকে বদলি করে অন্তর্বর্তী সরকার। দুই বিভাগের দায়িত্ব নেন আকমল হোসেন আজাদ। কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর তাঁকেও সরানো হয়। নতুন সচিব হিসেবে কাজে যোগ দেন সাইদুর রহমান। সচিব পদে অল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার পরিবর্তন অস্থিরতার লক্ষণ বলে কেউ কেউ মনে করেন।
মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তা বদলিজনিত অস্থিরতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়নি। প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের চাকরি স্থায়ী হয়নি, কয়েক মাসের বেতন বকেয়া আছে। স্নাতকোত্তর চিকিৎসাশিক্ষার্থীরা সম্মানী বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন। বছরের শুরুর দিকে খতনা করানোর সময় একাধিক শিশুমৃত্যু এবং বেশ কয়েকটি হাসপাতালে মাতৃমৃত্যুর ঘটনাগুলো চাপা পড়ে গেছে।
ডেঙ্গুর আতঙ্ক নিয়ে বছর শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই আতঙ্ক যায়নি। সে যাহোক, সরকার স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন করেছে। আমরা আশা করি, কমিশন তাদের প্রতিবেদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করবে। সরকার যদি সত্যি তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য খাতে ভালো পরিবর্তন আমরা আশা করতে পারি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক সংস্কার, চিকিৎসাসেবার গুণগত মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৩ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির সভাপতি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ।
ড্যাব এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে। শুধু চিকিৎসকদের দিয়ে কমিটি গঠন করায় এর সমালোচনা হয় গণমাধ্যমে। ১২ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক এম এ ফয়েজ। এরপর কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। এর বাইরে এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে সরকার ১৭ নভেম্বর ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর ওই কমিটির প্রধান এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে কিছু সদস্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন কাজ করে চলেছে। কমিশন আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে পারে। কমিটি ও সংস্কার কমিশনের কাজ নিয়ে একধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেঙ্গুর আতঙ্ক নিয়ে বছর শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই আতঙ্ক যায়নি। সে যাহোক, সরকার স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন করেছে। আমরা আশা করি, কমিশন তাদের প্রতিবেদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করবে। সরকার যদি সত্যি তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য খাতে ভালো পরিবর্তন আমরা আশা করতে পারি।’