প্রতিবছর দেশে ১০ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে মারা যান। বাংলাদেশে ক্যানসারে নারী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ জরায়ুমুখ ক্যানসার। অসচেতনতা ও অবহেলা এই ক্যানসারে মৃত্যুর প্রধান কারণ।
‘জরায়ুমুখের ক্যানসার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য একটি প্রচেষ্টা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল মঙ্গলবার এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটি আয়োজন করে অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। আয়োজনে সহযোগিতা করে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড। সেমিনারে ইনসেপ্টার নতুন ভ্যাকসিন প্যাপিলোভ্যাক্সের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
দেশের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা এবং ক্যানসার নির্মূলে নিয়মিত স্ক্রিনিং নিয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়। জরায়ুমুখের ক্যানসারমুক্ত দেশ অর্জনে এইচপিভি ভ্যাকসিন প্যাপিলোভ্যাক্স কীভাবে অবদান রাখতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। একই সঙ্গে এই ভ্যাকসিনের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোও সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক টি এ চৌধুরী ও জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন বক্তব্য দেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম। অধ্যাপক গুলশান আরার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারে ইনসেপ্টার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ই এইচ আরেফিন আহমেদ।
সেমিনারে জানানো হয়, ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত সব সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূলের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে। জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূল করতে এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রাথমিক পদক্ষেপ। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিনের এক বিশাল শূন্যতা ছিল। এই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে এসেছে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড। দেশে প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যানসারের ভ্যাকসিন প্যাপিলোভ্যাক্স বাজারজাত শুরু করেছে।