দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে যেন কোনো বৈষম্য না হয়। বড় মিয়ার বাড়ির রাস্তা আগে হবে আর ছোট মিয়ার বাড়ির রাস্তা পরে হবে, এমনটা আমরা শুনতে চাই না। যাঁরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরাই পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বৈষম্যের দিনের অবসান ঘটেছে।’ আজ রোববার মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে বন্যা–পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘বন্যায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রশাসনের মাধ্যমে যথাযথ তালিকা হচ্ছে। আপনাদের ভাবনার চাইতেও সরকার আরও ভালো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’
দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে ফারুক-ই-আজম বলেন, এখন আর আগের বাংলাদেশ থাকবে না। উঁচু–নিচু ভেদাভেদ আর হবে না। আইনের কাছে সবাই সমান থাকবে। রাষ্ট্র ও সরকারে সুস্পষ্ট বিভাজন থাকবে। রাষ্ট্র চিরস্থায়ী চিরন্তন। রাষ্ট্র তার আইন ও বিধি দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। এর ব্যত্যয় যারা করবে, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব থেকে চলে যাবে। জনগণের জন্য থানা-পুলিশ উন্মুক্ত থাকবে। যেখানে আর কোনো বৈষম্য থাকবে না।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের কোনো ডিপার্টমেন্টের কাজের ফিরিস্তি নিয়ে ঠেলাঠেলি যেন না হয়। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তর যৌথ পরিবারের মতো কাজ করবে। জনগণের সেবা করার জন্য যে সুযোগ এসেছে, তা যেন হেলায় নষ্ট না করি।’
মতবিনিময় সভায় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল মামুন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।