বিএনপির সালাহউদ্দিন ঈদের পরে দেশে ফিরতে পারেন

সালাহ উদ্দিন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ পবিত্র ঈদুল আজহার আগে দেশে ফিরছেন না। বতর্মানে তিনি মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আছেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লির একটি হাসপাতালে যেতে হবে। সেখান থেকে ফিরতে সময় লাগতে পারে। এ প্রক্রিয়া শেষ করেই আসন্ন ঈদের পর দেশে ফিরতে চান তিনি।

বিএনপির এই নেতার সঙ্গে তাঁর স্ত্রীরও দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আসার কথা রয়েছে। তাঁকে নিয়ে আমি চিকিৎসার জন্য দিল্লি যাব।’
১২ জুন দেশে ফেরার জন্য ভ্রমণ অনুমোদন (ট্রাভেল পাস) পেয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এই ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে তাঁকে দেশে ফিরতে হবে।

দেশে ফেরার পর ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়া যেত কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেশে ফিরলে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ না–ও পেতে পারি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে ফিরতে তিন মাস সময় লাগবে না। আশা করছি, এর আগেই যেতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি। তাই সড়কপথে না পাঠিয়ে বিমানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলে কৃতজ্ঞ থাকব।’

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁকে যখন শিলংয়ে ফেলা রাখা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ে। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এরপর ওই হাসপাতালে আরও কয়েকবার যেতে হয়েছে। কিন্তু এরপর করোনা মহামারির কারণে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই দেশে ফেরার আগে একবার গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্‌ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।

সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।