বিএনপির অবরোধ শুরুর প্রথম দিন সকালে চট্টগ্রাম নগরে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের দামপাড়া বাস কাউন্টারের সামনে একটি মিনিবাসে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আর গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা ট্যানারি বটতলা এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গতকাল রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা ও শ্রীপুর উপজেলায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, চট্টগ্রাম নগরের সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় বাসটি যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়ায়। ওই সময় যাত্রীবেশে দুজন উঠে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় একটি বাসে আগুন জ্বলতে তাঁরা দেখেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইপিজেডের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ছয়টার দিকে একটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে যান। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাসটির চালকের বরাত দিয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, বাসটি যাত্রী তোলার জন্য সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় দাঁড়ায়। ওই সময় যাত্রীবেশে দুজন উঠে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ইপিজেড এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সকাল থেকে পুলিশ সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাসে আগুন দেওয়া ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। পরে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ সকাল থেকে বিএনপির তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীও।