পোশাকশিল্পে ৩৫ বছর বয়স হলেই বেকার হওয়ার শঙ্কা 

সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স সাধারণত ৫৯ বছর। কিন্তু পোশাককর্মীরা, বিশেষ করে নারী কর্মীরা ত্রিশের কোঠা পার হলেই চাকরি নিয়ে শঙ্কায় পড়ে যান। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে না লাগিয়ে তখন তাঁদের বাদ দিয়ে কম বেতনে নবীন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।

কারখানার বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে পুরুষের চেয়ে নারীকে বেশি লড়াই করতে হয়। অতিরিক্ত কাজের চাপে স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে ৬৯ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন

অন্যান্য দিনের মতোই গত ২৭ জুন কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন পেয়ারা বেগম। গাজীপুরের টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে তিনি জুনিয়র ফিনিশিং অপারেটর। পরদিন থেকে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে। বেলা ১১টার দিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাঁকে ডেকে পদত্যাগ করতে বললেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তাঁর বয়স ৫০ বছর। পেয়ারা বেগমের পুরো পরিবারের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেল।

এই বছরেরই ২৮ জানুয়ারি গাজীপুরের আরেক পোশাক কারখানা লিজ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ৫৩ বছর বয়সী কর্মী রওশন আরার চাকরি চলে যায়। তিনি সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন।

একই এলাকার তাজ নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে দুই বছর কাজ করার পর গত ১৫ মে ছাঁটাই হন ৪৮ বছর বয়সী ফায়েজা বেগম। তিনি ছিলেন জ্যেষ্ঠ অপারেটর।

গত ২৭ ও ২৮ জুলাই এই তিন নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলো। কোনো পোশাক কারখানায় গেলে পেয়ারা, রওশন ও ফায়েজাদের বয়সী নারীদের উপস্থিতি বিরল। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বলছে, পোশাক কারখানায় নারীদের গড় বয়স ২৫ বছর। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারীর হার ১০ শতাংশের বেশি নয়। অন্যান্য চাকরি থেকে অবসরের স্বাভাবিক বয়স যেখানে ৫৯ বছরের কম নয়, সেখানে পোশাক কারখানায় ৩৫-৪০ বছর বয়স মানেই ‘বুড়ো’ হয়ে যাওয়া। অথচ ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের (২০২২-২৩ অর্থবছর) রপ্তানি আয়ের এই খাতে অভিজ্ঞতার কোনো মূল্য নেই। কখনো তাঁদের চাকরি হারাতে হয়, কখনো চাকরি ছাড়তে বাধ্য হতে হয়।

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) তৈরি ‘পোশাক কারখানার কর্মীদের ওপর জরিপ প্রতিবেদনে’ (আ সার্ভে রিপোর্ট অন গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ ২০২০) বলা হয়েছে, দেশে পোশাককর্মীদের গড় বয়স ২৬ বছর। নারীদের গড় বয়স ২৫ ও পুরুষের ২৭ বছর। জরিপটি পরিচালনা করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, মালিকেরা ‘বয়স্ক’ কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে চান না। কম বয়সে বেশি কায়িক শ্রম দিতে পারবেন, এমন কর্মী তাঁরা চান। আবার অতিরিক্ত শ্রম দিতে হয় বলে একটা পর্যায়ের পর পরিবারকে সময় দিতে অনেক নারী চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ, কারখানাগুলোতে দিবাযত্ন কেন্দ্র, সন্তানদের শিক্ষা, মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধার মতো নারীদের সহায়ক পরিবেশ নেই।

এসিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক কারখানায় প্রায় ৪২ লাখ কর্মী কাজ করেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’ (এমআইবি) শীর্ষক একটি প্রকল্পের অধীনে জিআইএস লোকেশনের মাধ্যমে পোশাকশিল্পে নারী ও পুরুষ কর্মীর অনুপাতের তথ্য তুলে ধরা হয়। গত ৩০ জুলাই শুধু রপ্তানিমুখী ৩ হাজার ৭৫২ তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য তুলে ধরে এমআইবি জানায়, ওই সব কারখানায় ২৮ লাখ ২৮ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশ নারী ও ৪২ শতাংশ পুরুষ।

৩৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মী কম

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ফায়েজা বেগমের (৪৮)। তাঁদের মা-ছেলের সংসার। ঠিক কবে পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন, মনে করতে পারলেন না। বিয়ের পর একমাত্র শিশুসন্তানকে পরিবারের সদস্যদের কাছে রেখে কারখানায় যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘কাজে কাজেই জীবন গেল। কোনো দিন লেট (দেরি) করলাম না, অসুস্থ হলেও কাজে আসতাম। তা–ও চাকরি গেল।’

কী বলে ছাঁটাই করা হলো জানতে চাইলে বলেন, ‘বলল, কারখানা বন্ধ করে দেবে। আসলে আমাকে বিদায় করতে এটা বলেছে। কারখানা চালু আছে।’ তিনি জানান, অতিরিক্ত সময়ে কাজসহ মাসে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা পেতেন। এখন অনেক কষ্টে আছেন। ১৯ বছরের ছেলের একার আয়ে সংসার চলে না।

২০১৮ সালে ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানার নারী কর্মীদের কাজ ও কাজের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ (মনিটরিং ওয়ার্ক অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন্স অব উইমেন এমপ্লয়েড ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ)’ শিরোনামে বেসরকারি সংস্থা ‘কর্মজীবী নারী’ জরিপ চালায়। এতে বলা হয়, পোশাক কারখানায় মাত্র ৮ শতাংশ নারী কর্মীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি। বিপরীতে ৯০ শতাংশ নারী কর্মীর বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর। ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার ও ডিইপিজেডের ১০০ কারখানার ১ হাজার ১২ জন কর্মী ওই জরিপে অংশ নেন।

একই শিরোনামে কর্মজীবী নারী ২০১৯ সালে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১০০ কারখানার ১ হাজার কর্মীর ওপর আরেকটি জরিপ চালায়। ওই জরিপের তথ্যে বলা হয়, নারী কর্মীদের গড় বয়স ২৪ বছর। ৩০ বছরের বেশি বয়সী কর্মী ১০ শতাংশের কম। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ১১৩টি কারখানার ১ হাজার ২ জন নারী কর্মীর ওপর তৃতীয় আরেকটি জরিপ চালানো হয়। তাতে বলা হয়, ওই কারখানাগুলোতে নারী কর্মীদের গড় বয়স ২৫ বছরের কম। ত্রিশোর্ধ্ব নারী মাত্র ১০ শতাংশ।

বয়সের সঙ্গে বাড়ে কাজ হারানোর ঝুঁকি

পেয়ারা বেগম তাঁর ছাঁটাইয়ের দিনের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, কারখানায় মাসখানেক ধরে সেলাইয়ের কাজ ছিল না। তাই তাঁদের ফ্লোরের ১৪ জন অপারেটরকে সহকারীর (হেলপার) কাজ করতে হচ্ছিল। তাঁদের মধ্যে তিনিই বেশি বয়স্ক। ছাঁটাই করা হয়েছে শুধু তাঁকেই। কারখানাটিতে তিনি ছয় বছর কাজ করেছেন।

টিআরজেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রিপন খন্দকার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘বয়সের কারণে কাউকে আমরা ছাঁটাই করি না। পেয়ারা বেগম কাজ করতে পারছিলেন না বলে নিজেই চলে গেছেন।’

রওশন আরা লিজ অ্যাপারেলসে প্রায় ১০ বছর কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কান্দিছি, গইর (গড়াগড়ি) পারছি। তাও চাকরিতে রাখে নাই।’ তিনি কারাখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

লুৎফর রহমান বলেছেন, বেশি দিন চাকরিতে থাকায় রওশন কারও নির্দেশ মানতেন না। তাঁর কাজের জায়গা পরিবর্তন করায় তিনি হইচই করে কাউকে কিছু না বলে চলে গেছেন। পাওনা নিতে তাঁকে চিঠি পাঠানো হলেও তিনি আসেননি। রওশন অবশ্য কোনো চিঠি পাননি বলে দাবি করেন।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি জলি তালুকদার বলেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে তাঁদের ছাঁটাই করে কম টাকায় তরুণ কর্মী নেয়। কোনো কোনো কারখানায় ১০ বছরের কম চাকরি করলে যত গ্র্যাচুইটিসহ যেসব আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হয়, তার চেয়ে বেশি কাজ করলে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। অভিজ্ঞদের ছাঁটাইয়ের এটি বড় একটি কারণ।

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহিদউল্লাহ বলেছেন, বয়সের কারণে নয়, কাজের অভাবে কারখানাগুলো শ্রমিক ছাঁটাই করে। পোশাক কারখানায় নারীরা ১৮ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন। ৩০-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত টানা ভালো কাজ করেন। এরপর তাঁদের সন্তানেরা মাকে আর কষ্ট করতে দিতে চায় না।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার উপমহাপরিদর্শক এ কে এম সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো শ্রমিকের অবসরের বয়স হওয়া পর্যন্ত অনেক কারখানা টিকে থাকে না। আবার উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেলেও অনেক কারখানা ৪০-৪৫ বছর বয়সী কর্মীদের কাজে রাখে না। তবে শ্রমিকেরা যেন শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনা বুঝে পান, অধিদপ্তর তা নিশ্চিত করে থাকে। অবসরের বয়স পর্যন্ত কর্মীর কাজ করার সুযোগের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে।

কাজের চাপে স্বাস্থ্যে অবনতি

আওয়াজ ফাউন্ডেশন ও কনসাল্টিং সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ‘কর্মীর কণ্ঠ ২০১৯ (দ্য ওয়ার্কার্স ভয়েস)’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরও একটি প্রসঙ্গ। তাতে বলা হয়েছে, কারখানার বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে পুরুষের চেয়ে নারীকে বেশি লড়াই করতে হয়। অতিরিক্ত কাজের চাপে স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে ৬৯ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের ওই জরিপে সরাসরি সাক্ষাৎকারে ৪৪৭ জন নারী-পুরুষ কর্মী অংশ নেন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারী ৩৬ শতাংশ ও পুরুষ ২৮ শতাংশ, ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী নারী ৫৮ শতাংশ ও পুরুষ ৬৬ শতাংশ এবং ৪০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী নারী ৪ শতাংশ ও পুরুষ ৬ শতাংশ অংশ নেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসুস্থতাজনিত ও মাতৃত্বজনিত ছুটি কম নেবেন, এই মনোভাব থেকে কম বয়সী নারী কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। কতটা মানসিক চাপ ও কঠোর পরিশ্রমের ভার কর্মীদের নিতে হয়, বয়স্ক কর্মীদের সংখ্যার স্বল্পতা থেকে তা বোঝা যায়।

কাজের গড় সময়সীমা ৬ বছর

মিরপুরের আজমত গ্রুপে ২০২০ সালে করোনার সময়ে চাকরি হারান স্বপ্না খাতুন (৩৫)। তিনি ওই কারখানায় সহকারী (হেলপার) হিসেবে পাঁচ বছর ধরে কাজ করতেন। তখন তিন মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় ছিলেন। এক বছর ঢাকায় থেকে চেষ্টা করেও আর চাকরি পাননি। গত ২৮ জুলাই স্বপ্না খাতুন বললেন, ‘সাতক্ষীরায় চলে এসেছি। এখন বেকার। দুই মাস ধরে স্বামীরও কাজ নেই। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি।’

টিআরজেড কারখানায় সহকারী পদে সাত বছর কাজ করেছেন সামছুন্নাহার (৪০)। গত ৩০ এপ্রিল তাঁকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।

কর্মজীবী নারীর প্রথম জরিপের তথ্যে বলা হয়, পোশাক কারখানায় নারীর কাজের গড় অভিজ্ঞতা ৬ বছর। ১০ বছরের বেশি কাজ করেছেন এমন নারী মাত্র ১২ শতাংশ। মাত্র ৪ শতাংশ নারী এক কারখানায় ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করছেন। ৭২ শতাংশ নারীর একটি ও দুটি কারখানায় এবং বাকিদের তিন বা তার বেশি কারখানায় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

স্বপ্না ও সামছুন্নাহার অভিযোগ করলেন, তাঁরা পাওনা টাকা পাননি। স্বপ্না তিন বছর আগে বিজিএমইএতে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র গাজীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ইউনিয়ন থেকে চিঠি দিলেও বেশির ভাগ কারখানা আলোচনা করতে চায় না। তারা চায়, মামলা করে শ্রমিকেরা হয়রানির শিকার হোন। আবার বহু কারখানা অর্ধেক পাওনা দেয়।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহিদউল্লাহ বলেন, অভিযোগ যথাযথ জায়গায় করতে হবে। বিজিএমইএর লেবার আরবিট্রেশন সেলে অভিযোগ করলে সমস্যার সুরাহা সম্ভব।

কাজের কাঠামো দরকার

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, দেশে কর্মযোগ্য বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছর। সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মযোগ্য বয়স পর্যন্ত পোশাক কারখানার কর্মীদের চাকরি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ৩৫ বছর বয়সে চাকরি না থাকার অর্থ, একজন কর্মী তাঁর কর্মযোগ্য সময়ের মাত্র ২০ বছর কাজে লাগাতে পারছেন। পোশাক কারখানায় ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের সুযোগ সৃষ্টির কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। বৈশ্বিকভাবে পণ্য ও নকশায় বৈচিত্র্য আসায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। তাই কর্মসহায়ক ও স্বাভাবিক অবসরের সময় পর্যন্ত কাজের পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টি শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের আলোচনায় বসা দরকার।