কৃষিতে ব্যবহৃত বালাইনাশক অনিবন্ধিত ও বেআইনি উৎস থেকে আমদানি হচ্ছে, এমন অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কৃষি, বাণিজ্য, পরিবেশ ও বনসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।
নিম্নমানের বালাইনাশক অননুমোদিত উৎস থেকে আমদানি, আয়কর ফাঁকি, জাল–জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে গত অক্টোবরে একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই বিষয়ে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর আবেদনকারী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
আদেশের বিষয়টি আজ সোমবার জানিয়ে আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর প্রথম আলোকে বলেন, নিবন্ধিত উৎস থেকে বালাইনাশক আমদানি করতে হবে। অথচ অনিবন্ধিত ও বেআইনি উৎস থেকে বালাইনাশক আমদানি করা হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের বালাইনাশক কৃষিজমি ও ফসলের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যে কারণে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। অনিবন্ধিত ও বেআইনি উৎস থেকে বালাইনাশক আমদানির অভিযোগ অনুসন্ধান করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।