মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এটুআইতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতেও কাজ করতে চায় তারা।
আজ রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কোরিয়া দূতাবাসের বাণিজ্য প্রতিনিধি স্যামসু কিম ও অ্যাকোট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড কিম এমন আগ্রহের কথা জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডওয়ার্ড কিম এটুআইয়ে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখালে উপদেষ্টা তাঁকে জানান, বর্তমানে এটুআই জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) অর্থায়নে চলছে। এ বছর ডিসেম্বরে এটুআইয়ের সঙ্গে ইউএনডিপির চুক্তি শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে এডওয়ার্ড কিম এটুআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে কোরিয়া দূতাবাসের বাণিজ্য প্রতিনিধি স্যামসু কিম বলেন, বাংলাদেশে অনলাইন ন্যাশনাল ট্যাক্স সিস্টেম, ই-কাস্টমস ক্লিয়ারিং সিস্টেম, ন্যাশনাল ল্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, ই-ট্যাক্স সিস্টেমে কোরিয়া যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
স্যামসু কিম আরও বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ লোকবল থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীর অভাব রয়েছে। বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী বানাতে আগ্রহী তাঁরা। পাশাপাশি ন্যাশনাল ইনফরমেশন প্রজেক্টের বিষয়েও উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী। তাই তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ন্যাশনাল ইনফরমেশন প্রজেক্ট জাতীয় নীতির বিষয়। এ বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।