ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সেনাসদস্যের হাতে ল্যাপটপের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ল্যাপটপ জমা দেওয়া নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৫ আগস্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে সচেতন নাগরিকেরা হারানো রাষ্ট্রীয় সম্পদের কিছু অংশ ওই দিনই উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নেপথ্য কণ্ঠ (ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েস) যুক্ত করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ ভবন এলাকায় ল্যাপটপ হাতে হাসিমুখে হেঁটে যাচ্ছেন একজন সেনাসদস্য। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েসে দুটি ল্যাপটপ সেনাসদস্য অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়। এভাবে ওই সেনাসদস্য ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়। মূলত ওই দিন কিছু সচেতন নাগরিক সেনাসদস্যদের কাছে একটি ল্যাপটপ ও একটি স্ক্যানার হস্তান্তর করেন, যা ওই দিনই নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জমা করেন সেনাসদস্য। পরে উদ্ধার করা অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে ল্যাপটপ ও স্ক্যানারটি জাতীয় সংসদ ভবনের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনী–সংক্রান্ত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়।