পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও নির্বাচন ‘সহিংসতামুক্ত’ হবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন সংঘাতমুক্ত (নন-ভায়োলেন্ট), এটা আমরা বলতে পারলাম না। কারণ, নন-ভায়োলেন্ট নির্বাচনের বিষয়টি সব দলের ঐকমত্য, একান্ত আন্তরিকতা এবং ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আমাদের এ সমস্ত দেশে নির্বাচন হলেই বেশ সংঘাত হয়।’
মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (মার্কিন প্রতিনিধিদল) জানতে এসেছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী করেছি। তাদের নিজেদের কোনো মতামত নেই। তারা শুধু জানতে চাইছে—অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে। তারা আসার পরে আমরা একটি ব্রিফ দিয়েছি যে আমরা কী কাজ করছি।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দুনিয়াতে যেভাবে নির্বাচন হয় শাসনতন্ত্র মেনে, আমরা সেভাবে নির্বাচন করব বলে তাদের জানিয়েছি। আমাদের শাসনতন্ত্রে নির্বাচনকালীন সরকার বলতে কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করব। আমরা একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। যেখানে ভায়োলেন্সও হবে না। কিন্তু আমরা চাইলেই তা হবে না। সব দল ও মতের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, ভোট বর্জন করতে। আমরা চাই সবাই নির্বাচন করুক। যার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, সে দল জয়লাভ করবে এবং সরকার গঠন করবে।’
পর্যবেক্ষক দল সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বার্তা দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বলেনি। এ সম্পর্কে কোনো আলোচনা করিনি। তবে আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে অংশ নিক। কিন্তু আমরা জোর করে কাউকে বলি না, নির্বাচনে অংশ নাও।’
ভোট কারচুপি নিয়ে এবং বেচাকেনা নিয়ে সরকার সতর্ক অবস্থানে থাকবে বার্তা দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কাউকে জোর করে ভোট দেওয়াই না বা কোনো দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জোর করব না। আমরা চাই, তারা ইচ্ছেমতো ভোট দেবে। এ রকম ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচনী প্রচারণার সময় যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়। যেন ভোট বেচাকেনা না হয় বা ভোট কারচুপি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক। আমরা চাই না কেউ জোর করে কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করুক।’