বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস (বাঁয়ে) ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস (বাঁয়ে) ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বোয়িং না এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনা হবে, সে সিদ্ধান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে: বিমানমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস—কোন কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনা হবে, তা নির্ভর করছে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিমানমন্ত্রী এ কথাগুলো বলেছেন। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। বোয়িং ও এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই চাইছে, আমরা তাদের উড়োজাহাজ কিনি। দুই কোম্পানিই বিমান বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছে। একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন শেষ কমিটি যে কোম্পানির সুপারিশ করবে, তাদের উড়োজাহাজ কেনা হবে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীতকরণ ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে বলে জানান ফারুক খান। জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচল আইন ও নিজেদের কেন্দ্রীয় উড়োজাহাজ চলাচল প্রশাসনের নিয়ম মেনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।

বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উড়োজাহাজশিল্পের অংশীদার হওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে।’

এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোনো কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও কোনো কারণ নেই। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয়, তা হিসাব করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’