চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসককে মারধর

চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারের এক চিকিৎসককে বেদম মারধর করেছেন রোগীর স্বজনেরা। রিয়াজ উদ্দিন নামের ওই চিকিৎসক এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জিইসি মোড়ের হাসপাতালটিতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হাসপাতালটির আরও অন্তত তিনজন ওয়ার্ড বয়কেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ ছাড়া ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ।

এর আগে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক ইয়াসিন আরাফাত বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭–৮ জনকে আসামি করা হয়।

ব্যবস্থাপক ইয়াসিন আরাফাত অভিযোগ করে প্রথম আলোকে জানান, ভাটিয়ারী বিএম ডিপো এলাকার মো. সুমনের এক বছরের মেয়ে মুনতাহাকে শনিবার রাতে নিউমোনিয়া নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকেই মেয়েটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিল। পরদিন রোববার সকালে মেয়েটিকে রোগীর অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর ওই দিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বেলা ১১টার দিকে শিশুটির বাবা সুমনের নেতৃত্বে ৭–৮ জন আইসিইউর চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন ও ওয়ার্ড বয়দের ওপর চড়াও হন। এ সময় রিয়াজকে কিল–ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। তিনি মাথায়ও আঘাত পান। পরে তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আজ সোমবার বেলা একটায় তাঁর জন্য মেডিকেল বোর্ড বসার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে চমেক নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল কাদের বলেন, রিয়াজ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর তাঁর সার্বিক বিষয়ে বলা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চিকিৎসক আহত হয়েছেন। ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।