আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার সঙ্গে সনাতনী কেউ জড়িত নয়, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সনাতনীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। আজ মঙ্গলবার রাতে এ জোটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আজ চট্টগ্রাম আদালতে আনা হয়। আদালতে মিথ্যা ও কথিত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি চেয়ে সাধারণ সনাতনীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করে। হাজার হাজার সনাতনী প্রিজন ভ্যানের সামনে শুয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করে। এ সময় বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা করা হয়। সনাতনীরা ছড়িয়ে পড়লে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সনাতনীরা সব সময় অন্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সনাতনীরা কেউ মসজিদে কোনো হামলা করেনি। মসজিদে হামলা হয়েছে গুজব ছড়িয়ে অন্যদের জড়ো করা হয়। ওই সময় চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায় হামলাকারীরা এবং তাঁকে মারাত্মকভাবে জখম করে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ছড়াচ্ছে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে জবাই করেছে ইসকনের সদস্যরা, যা পুরোপুরি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, সনাতনীরা ছিল নিরস্ত্র। আলিফকে পরিকল্পিতভাবে কে হত্যা করল, তা খুঁজে বের করা উচিত। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে সাদাপোশাকধারীরা স্লোগান দিয়ে সেবক কলোনিতে আগুন দেয়। এ ছাড়া ফিরিঙ্গিবাজার রোডের লোকনাথ মন্দিরে হামলা চালায়।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সমন্বয়কদের এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবির পাশাপাশি আজকের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আট দফার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।