বিএসপির বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তিকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে দেখানোর অভিযোগ

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীবাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) প্রধান কার্যালয়ের ভেতরের চিত্র
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তিকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদের তিন ভাই-বোন আজ বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে সই করেছেন সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ, সৈয়দা সায়েমা আহমদ ও সৈয়দা সাহেদা আহমদ। অভিযোগে বলা হয়, বিএসপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে দেখানো পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলছে।

বিএসপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিনকে ‘ভূমিদস্যু’ আখ্যা দিয়ে তাঁর দলকে নিবন্ধন না দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অভিযোগকারী ব্যক্তিরা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএসপিসহ দুটি প্রায় অচেনা রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অপর দলটি হলো—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।

দল দুটির বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে তা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দাখিলের আহ্বান জানিয়ে ইতিমধ্যে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইসি। আজ সকালে ইসি সচিব বরাবর বিএসপির বিষয়ে লিখিত আপত্তি জানালেন দলটির চেয়ারম্যানের তিন ভাই-বোন।

‘খানকা শরিফ’ নামে পরিচিত এই পাঁচতলা ভবনের চারতলায় বিএসপির অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়

লিখিত আপত্তিতে বলা হয়, পিতা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারীর প্রতিষ্ঠিত খানকা শরীফগুলোকে বিএসপির কার্যালয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুরে বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিএসপির আঞ্চলিক অফিসগুলো।

লিখিত আপত্তিতে আরও বলা হয়, মইনুদ্দিন আহমদ মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান। তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও চট্টগ্রাম কার্যালয় হিসেবে যে ঠিকানা দেখানো হয়েছে, সেখানে তাঁরা (অভিযোগকারীরা) দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। সেখানে বিএসপির সাইনবোর্ড স্থাপন করে তাঁদের বসবাসের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএসপির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমদ তাঁর ভাই-বোনদের সম্পত্তি গ্রাস করার উদ্দেশ্যে পারিবারিক সম্পত্তিকে তাঁর দলের কার্যালয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই দলটির নিবন্ধন দেওয়া হলে তাঁদের (ভাই-বোন) অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়া কোনো দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। নিবন্ধনের জন্য এবার ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ১২টি দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ২টি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা চলছে।